পরশু একটি সিএনজিতে চড়েছিলাম। সিএনজি ড্রাইভারের মতে, বদলে যাবার জন্য বাংলাদেশের সামনে ৫টি জরুরি কাজ হলো (হুবহু তার মতো করে তুলে দিলাম):
১। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত অন্তত একটি সর্বাধুনিক স্কুল থাকতে হবে। যাতে সন্তানের সবচেয়ে ভালো শিক্ষার চিন্তায় কোনো বাবা-মাকে বড় শহরে আসতে না হয়। শিক্ষকের বেতন হতে হবে সর্বোচ্চ, যাতে সবচেয়ে ভালো ছাত্ররা শিক্ষক হয়। এটা করতে পারলেই অর্ধেক বদলে যাবে বাংলাদেশ।
২। সব জেলায় অন্তত একটি এমন হাসপাতাল থাকতে হবে যেখানে সব চিকিৎসা করা সম্ভব। চিকিৎসার জন্য শহরে বা ভারতে যেতে না হয়। মন্ত্রী এমপি যেই হোক, নিজ জেলার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হবে।
৩। বিদেশে লেবার পাঠিয়ে লাভ নাই। পাঠালে ইঞ্জিনিয়ার বা এরকম দক্ষ মানুষ পাঠাতে হবে। প্রথমেই অন্তত ৫০ লাখ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষ বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করতে হবে।
৪। হিজরা এবং যেসব মানুষ রাস্তায় থাকেন, তাদের ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজে লাগাতে হবে। এতে সবার লাভ হবে।
৫। তরুণরা সেবাঘন্টা জমাবে, টাকা নয়। সেবাঘন্টা মানে হলো, তার কাজের পাশাপাশি সে বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী মানুষকে সেবা দেবে, দিনে যত ঘন্টা সেবা দেবে, সেই ঘন্টার হিসাব জমা থাকবে এবং সে যখন বৃদ্ধ হবে, তখন সে সেই সেবাঘন্টা ফেরত পাবে। তাহলে মানুষের টাকা জমানোর বদলে সেবাঘন্টা জমাবে। তখন মানুষ আর দুর্নীতি করবে না। মানুষের সেবা করবে।
এই ৫টি ছাড়াও আরো যেসব কাজ জরুরি সেগুলো হলো- – কৃষিকাজ লাভজনক করতে হবে। কৃষকের মাইর খাওয়া মানে হলো দেশের মাইর খাওয়া। কৃষি ঠিক থাকলে সব ঠিক। – অনেক বিশ্ববিদ্যালয় দরকার নেই। যারা ভালো ছাত্র, আরো পড়তে চায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। কিন্তু যারা চাকরি করতে চায়, তাদের জন্য ইন্টারের পর কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো অনেক কিছু বলছিলেন তিনি, আর মনে করতে পারছি না। একজন সিএনজি চালক যা বোঝেন, অনেক বিজ্ঞরা তা বোঝেন না।