৫ অক্টোবর কবি আসাদ চৌধুরী প্রয়াণ দিবস। টরন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরের দিন ইসলামিক ফাউন্ডেশন অব টরন্টো জামে মসজিদে জানাযা শেষে অন্টারিওর ডাফিন মিডোস কবরস্থানে তাঁকে সমাধিত করা হয়। উক্ত দিবসটিতে বিশিষ্ট নাট্য অভিনেতা, সাংবাদিক মীর নাসিমুল ইসলাম সেলিম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন,
বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের কবি আসাদ চৌধুরী। আসাদ চৌধুরী একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার। আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি ছিলেন। সাহিত্যে তিনি গণমুখী ছিলেন, নান্দনিক ও রোমান্টিকতায় ভরপুর ছিল তার সাহিত্য ধারা।
তিনি বাংলাসাহিত্যে স্বতন্ত্র কাব্য ভাষা তৈরি করে নিজস্বতা অর্জন করেছিলেন। শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি ও সুনাম রয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে তিনি ব্যাপকভাবে সুপরিচিত। কালের সীমা অতিক্রম করে হয়েছেন কালোত্তীর্ণ।
তিনি বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কবি ও সাহিত্যিক ছিলেন। কবিতা ছাড়াও তিনি বেশ কিছু শিশুতোষ গ্রন্থ, ছড়া, জীবনী ইত্যাদি রচনা করে গেছেন। কিছু অনুবাদ কর্মও তিনি সম্পাদন করেছিলেন। ১৯৮৩ সালে তাঁর রচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান এবং ২০১৩ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
ছবি কৃতজ্ঞতা: Tanjik Rubaiyat অনুজ বন্ধু।