বৃষ্টির অক্ষর থেকে শব্দ তুললেই শুনি হৃদয় ঝরার ধ্বনি
শুনি শূন্যতার শরীর বেয়ে নামা জলের সংগীত
মেঘের হৃদয় যখন প্রাচীন বাঁশির অনলবর্ষী
সন্ধ্যা নয় শুধু মধ্যরাতও তখন মহামগ্ন ধ্যানের আসর
হৃদয়ের তাসবিহ্ যখন বৃষ্টির শ্বাস
অনায়াসে তাকে লিখি জলের ঠোঁটে
কে শোনে ঝরঝরন্ত জলের উচ্চারণ
পাঠের কৌশল দেখে নড়ে ওঠে আমার ঠোঁট
আমার হৃদয় তখন বর্ষণধারী বৃষ্টিবিদ্যালয়
ভেবে বেশ লাগে – আমিও বৃষ্টির পাঠক এক
আমিও হৃদয়ে লিখি বুনোবৃষ্টির নাম
কে যেনো আদেশ করেন- মূর্ছনায় তন্ময় হও
আমি হই,
সারাটা শরীর ছেঁকে তন্ময় আনি হৃদয়ের কাছে
সন্তর্পণে হৃদয়টি গুঁজে রাখি বৃষ্টিবীণায়
তারপর হৃদয়তারে বেজে ওঠা সুর
সারারাত খেলে নির্জন কুহরে
খুব সহজেই নির্জনতার হয়ে উঠি আমি
আবার বলেন- শোনো এই বৃষ্টিতেই ঝরে আত্নার কেরাত
জানোনা প্রতিটি ফোঁটার শরীরে লেখা উদগমের আদেশ
মেঘের হৃদয় থেকে আমার হৃদয় খুব দীর্ঘ পথ নয়
মন-কুন্জে তাই জমে বর্ষণের চিরন্তন উদাস
কে আছো, এমন উদাসী নির্জনে নিজেকে
ভেজায় সহসা
উচ্ছল উদ্যম আর উল্লাসের ঝরঝরে উৎসবে
হৃদয় বিছিয়ে বসে একাকীত্বের পাশে
মেঘের হৃদয়গুলো ঝরে পৃথিবীর হৃদয়ের কাছে
আর হৃদয় মানেই অনন্তের তসবিহ্ রাখার সিন্দুক
দেখি পৃথিবীর নদীগুলো বৃষ্টির প্রাচীন হৃদয়
সারাটা জমিন যেনো একান্ত বিছানা
পাহাড়গুলো সমর্পিত শিথান
পাঠের আনন্দ এঁকে মন আমার অনন্তের স্মারক