Home অন্যান্য চূড়ান্ত হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি, যা জানালেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা

চূড়ান্ত হচ্ছে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি, যা জানালেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট

0

গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি বিষয়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে অবগত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে জানিয়েছেন, শর্তাবলি এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।

এই খবরটি এমন এক সময়ে সামনে এসেছে, যখন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, “চলতি সপ্তাহে” যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে।

কয়েক ঘণ্টা, দিন বা এর বেশি সময়ের মধ্যে চুক্তি হওয়া সম্ভব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ছাড়া গতকাল সোমবার তিনি কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গেও আলাপ করেছেন, যিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন।

গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে।

ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
একই দিন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, তার প্রশাসন তোড়জোড়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করছে। যুদ্ধবিরতি হলে জিম্মিদের মুক্তি এবং ফিলিস্তিনে মানবিক সেবা পৌঁছানো সম্ভব হবে। এ বিষয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে শিগগিরই আলোচনা করবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটের ভেতর থেকে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টির কয়েকজনসহ জোটের ১০ জন ডানপন্থী সদস্য যুদ্ধবিরতির বিরোধিতার করে তার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ফিলিস্তিনের যে কর্মকর্তা যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন, তিনি বিবিসিকে আরও বলেন, গতকাল ইসরায়েল ও হামাসের কর্মকর্তারা একই ভবনের ভেতরে পরোক্ষ আলাপ-আলোচনা করেছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির কিছু সম্ভাব্য বিবরণ প্রকাশ করে ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা বলেন, বিস্তারিত কৌশলগত আলোচনার জন্য যথেষ্ট সময় লেগেছে। উভয় পক্ষ রাজি হয়েছে যে চুক্তির প্রথম দিন হামাস তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

এরপর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে ইসরায়েল।
এর সাত দিন পর হামাস আরও চার জিম্মিকে মুক্তি দেবে। দক্ষিণ গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের উত্তর গাজায় ফেরার অনুমতি দেবে ইসরায়েল। তবে তারা শুধু উপকূলীয় রাস্তা দিয়ে হেঁটে ফিরতে পারবেন। সালাহ আল-দিন সড়কসংলগ্ন একটি পথ দিয়ে কার, পশুচালিত গাড়ি ও ট্রাক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। কাতার ও মিসরের পরিচালিত একটি এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে এ পথ দিয়ে গাড়ি চলাচল পর্যবেক্ষণ করা হবে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলি সেনারা ফিলাডেলফি করিডরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখবে। চুক্তির প্রথম ধাপ ৪২ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এ সময় পূর্ব ও উত্তর সীমান্তে ৮০০ মিটার নিরপেক্ষ অঞ্চল হিসেবে বজায় থাকবে।

ইসরায়েল এক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। এর মধ্যে ১৯০ জন ১৫ বছর কিংবা তারও বেশি সময় ধরে সাজা ভোগ করছেন। বিনিময়ে হামাস ৩৪ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। যুদ্ধবিরতির ১৬তম দিনে চুক্তির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version