Home অন্যান্য আদালতে বিচারককেই প্রশ্ন করে বসলেন ফারজানা রূপা

আদালতে বিচারককেই প্রশ্ন করে বসলেন ফারজানা রূপা

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট

0
শুনানি চলার সময় আদালতের বিচারককে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন একাত্তর টিভি সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপা। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিরপুর থানার এক হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানিতে এ ঘটনা ঘটে।
মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যায় মামলার শুনানিকালে ফারজানা রূপাসহ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক নাসির উদ্দিন সরকার তার ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানিতে তিনি বলেন, তারা (ফারজানা রূপাসহ অন্যান্য আসামিরা) আন্দোলনের সময় উসকানি দিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার বানাতে সহযোগিতা করেছেন। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
এরপর ফারজানা রুপা কিছু বলতে আদালতের কাছে অনুমতি চান। আদালত অনুমতি দিলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ যেভাবে উসকানি দেওয়ার কথা বলেছে তাহলে আমাকে সেই উসকানি দেওয়ার জন্য মামলা দেওয়া হোক। হত্যা মামলায় নিয়ে কেন হয়রানি করা হচ্ছে সাংবাদিকদের? আমি এর বিচার চাই। বাংলাদেশের সুবিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে শুনেছি। হত্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কেন হয়রানি করা হচ্ছে এই প্রশ্ন আমি আপনার (বিচারক) কাছে রেখে গেলাম। আমি এর বিচার চাই।
এর উত্তরে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুঁলি (পিপি) ফারুকী বলেন, ছাত্র আন্দোলনে যারা গুলি করেছে তারা যে অপরাধী। আর যারা এই হত্যাকাণ্ডে সহায়তাকারী তারাও একই অপরাধী। তাদেরও একই শাস্তি হবে। গত ১৫ বছর তারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিজম কায়েম করার জন্য যা যা দরকার শাকিল-ফারজানা তা করেছেন। গণভবনে সাংবাদিকের একটা মিটিং হয়েছিল, সেখানে তারা ছিল এবং তারা হাসিনাকে বলেছে, গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, বিদেশে আপনার শত্রু আছে, দেশে শত্রু আছে তাদের শক্ত হাতে দমন করতে হবে। এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছে তারা। তিনি বলছেন, কথার জন্য উনাকে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তখন বিচারক ফারজানা রুপাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানানোর জন্য সহযোগিতা করেছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে শাকিল, ফারজানা রুপা, শ্যামল দত্তসহ আরও কয়েকজন সাংবাদিকদের নাম কলঙ্কিত করেছেন। তারা হাজার হাজার কোটি টাকার সুবিধা নিয়েছেন।
এরপর শাকিল কিছু বলতে চাইলে আদালত শুনানি শেষ করেন। পরে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যববিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট মিরপুর গোলচত্তর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় তার বাবা আল আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version