Home অন্যান্য জামালপুরে ৩৫ হাজার গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও ২৩ সমিতি, মাদারগঞ্জ থানার সামনে...

জামালপুরে ৩৫ হাজার গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও ২৩ সমিতি, মাদারগঞ্জ থানার সামনে গ্রাহকদের অবস্থান কর্মসূচী

মাদারগঞ্জ জামালপুর প্রতিনিধি

0

জামালপুরের মাদারগঞ্জে বেশ কয়েকটি সমিতিতে প্রায় ৭৩০ কোটি টাকা জমা রাখা আমানতের টাকা ফেরত পেতে থানা গেটের সামনে অবস্থান করেছেন গ্রাহকেরা।

আজ রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ২৩ টি সমিতিতে জমা রাখা আমানতের টাকা ফেরত পেতে থানা গেটের সামনে অবস্থান করেছেন গ্রাহকেরা।

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে জমা রাখা আমানতের টাকা ফেরত পেতে বিক্ষোভ করেছেন অগণিত গ্রাহক। দুপুরে তাঁরা লাঠি ও ঝাড়ুমিছিল করেমাদারগঞ্জ থানা চত্বরে অবস্থান এবং জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। ‘মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানতকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য সহায়ক কমিটি’—ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বেলা ১১টার দিকে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কয়েক হাজার গ্রাহক জড়ো হলে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় এবং উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে থানা গেটের সামনে এসে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেয়। পরে তাঁরা থানার সামনের সড়ক অবরোধ করে এবং স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত।

একই দাবিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও, ২৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি ও ২৩ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কের পাশে কর্মসূচি পালন করেছেন।

রোববারের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসার পথে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ফাতেমা বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার ভাংবাড়ী এলাকার হাসেম মিয়ার স্ত্রী। দুটি সমিতিতে তিনি ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জমা রেখেছিলেন। বাড়ি থেকে কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় মিলন বাজার এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে গৃহকর্মী, ভ্যানচালক, প্রবাসী, কৃষক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, এমনকি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরাও রয়েছেন। তাঁরা জানান, লাভের আশায় তাঁরা ২৩টি সমবায় সমিতিতে কেউ এককালীন, কেউ মাসিক কিস্তি আকারে টাকা জমা রাখতেন। এখন মূল টাকা ফেরত পাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা প্রায় দুই বছর ধরে আত্মগোপনে চলে গেছে।

গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে মাদারগঞ্জসহ জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সমিতিগুলোর মালিকেরা।

জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে জমা রাখা আমানতের টাকা ফেরত পেতে বিক্ষোভ করেছেন গ্রাহকেরা। রোববার দুপুরে তাঁরা লাঠি ও ঝাড়ুমিছিল করে থানা চত্বরে অবস্থান এবং জামালপুর-মাদারগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। ‘মাদারগঞ্জে বিভিন্ন সমবায় সমিতিতে আমানতকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য সহায়ক কমিটি’—ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বেলা ১১টার দিকে শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কয়েক হাজার গ্রাহক জড়ো হন। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে থানা গেটের সামনে এসে অবস্থান নেয়। পরে তাঁরা থানার সামনের সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা দুইটা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।

একই দাবিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও, ২৪ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি ও ২৩ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কের পাশে কর্মসূচি পালন করেন।

উক্ত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসার পথে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে ফাতেমা বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার ভাংবাড়ী এলাকার হাসেম মিয়ার স্ত্রী। দুটি সমিতিতে তিনি ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা জমা রেখেছিলেন। বাড়ি থেকে কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় মিলন বাজার এলাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে গৃহকর্মী, ভ্যানচালক, প্রবাসী, কৃষক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, এমনকি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও রয়েছেন। তাঁরা জানান, লাভের আশায় তাঁরা ২৩টি সমবায় সমিতিতে কেউ এককালীন, কেউ মাসে মাসে টাকা জমা রাখতেন। এখন মূল টাকা ফেরত পাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা প্রায় দুই বছর ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন।

গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে মাদারগঞ্জসহ জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩৫ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সমিতিগুলোর মালিকেরা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমানতের অর্থ উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক শিবলুল বারী। শিবলুল বারী তার বক্তব্যে বলেন, ‘দেড় হাজার কোটি টাকা নিয়ে মালিকেরা আত্মগোপনে থাকলেও ওই অর্থে গড়ে ওঠা অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি, এসব প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক। প্রশাসন আশ্বাস দিলেও কার্যত তা ছিল লোক দেখানো নিছক তামাশা মাত্র। 

কমিটির সদস্য মাহবুব আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকেরা বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়ে আসছেন। মামলা হয়েছে থানায় ও আদালতে। যখন কর্মসূচি পালিত হয়, তখন প্রশাসনের লোকজন টাকা উদ্ধারে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু বাস্তবায়ন কিছুই হয়নি। বাধ্য হয়ে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।

জেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল হান্নানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে জেলা সমবায় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সমিতিগুলোর অধিকাংশই নিবন্ধিত। গ্রাহকের অন্তত ৭৩০ কোটি টাকা এই সমিতিগুলোতে জমা রয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী, ২৩টি সমিতির মধ্যে আল-আকাবা, শতদল, স্বদেশ, নবদীপ, হলিটার্গেট ও রংধুন উল্লেখযোগ্য। কেবল এই ছয়টি সমিতির কাছেই জমা রয়েছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি।

২৩টি সমিতির মধ্যে আল-আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি হুমায়ুন আহম্মেদ, শতদল সমিতির মো. মোস্তাফিজ, স্বদেশের আনিছুর রহমান ও নবদীপ সমিতির ইব্রাহিম খলিল দীর্ঘদিন আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁদের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান আল মামুন বলেন, সমিতিগুলোর গ্রাহকেরা থানার সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনায় নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা সড়ক অবরোধ থেকে বিরত থাকেন।

ছবি: কালেক্টেড

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version