Home অন্যান্য দেশ যদি আমুল বদলে যায় প্রফেসর ইউনুসের সাথে আশিক চৌধুরীর নামটাও...

দেশ যদি আমুল বদলে যায় প্রফেসর ইউনুসের সাথে আশিক চৌধুরীর নামটাও জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করবে

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট

0
বিডা এবং বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী যে কতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় তা টের পাবেন মাস ছয়েক পরেই। এই ছেলেটা ওয়েস্টার্নের অর্থ বিত্ত ও আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে দেশে এসেছে দেশটাকে বদলে দেয়ার জন্য।
ইতিমধ্যেই সে স্টারলিং নিয়ে এসেছে, নাসার সাথে চুক্তিতে চলে গিয়েছে। বিনিয়োগ হিসেবে বিদেশি একটা ব্যাংকের সাথে চুক্তি হয়েছে এই বছর ১০০ কোটি ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে।
৫টা বিশালাকার মালবাহী জাহাজ কিনে নিয়েছে, রিভার ম্যানেজমেন্টের প্লান তৈরি করে বিশাল বিনিয়োগ আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; ৪ টা আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল (বিদেশী বিনিয়োগে) তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে; ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ইলেকট্রনিক ট্রেন অথবা বুলেট ট্রেন চালুর জন্য বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।
ইতিমধ্যেই ১০টা বৃহত্তর ইকোনমিক জোন তৈরি কার্যক্রম চলছে। ভাই মাত্র কয়েক দিনে এগুলা করেছে সে। যদি সে ৩৬৫ দিন কাজ করার সুযোগ পায় চিন্তা করছেন কত দূর এগিয়ে যাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
তার লক্ষ্য দেশে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ নিয়ে আসা যা দেশের ৩ কোটি মানুষের জীবন পরিবর্তন করে দিবে। কম হলেও ১ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
পরবর্তী সরকারে যেই আসুক, আশিক চৌধুরী, খলিলুর রহমান, শফিকুল আলমদের তারা যদি ঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে এই দেশ সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়া হতে সময় লাগবে মাত্র ৩ বছর-ইনশাআল্লাহ।

 

আশিক চৌধুরীর নীরব বিপ্লবীর গল্প সমুহ ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এর সুচনা করে দিয়েছে।

দেশ যদি সত্যিই একদিন আমূল বদলে যায়, মনে রেখো, সেই ইতিহাসে ড. ইউনুসের নামের পাশে উচ্চারিত হবে আরেকটি নাম—আশিক চৌধুরী।

বর্তমানে বিডা (BIDA) ও বেজা (BEZA)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আশিক। সিঙ্গাপুরের HSBC ব্যাংকে অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের চূড়ায় থাকা এই মানুষটি দেশে ফিরে এসেছেন শুধুমাত্র দেশের জন্য কাজ করতে—টাকা কামানোর জন্য নয়, বাংলাদেশকে বদলে দেওয়ার জন্য।

মাত্র কয়েক মাসেই তার নেতৃত্বে যা যা হয়েছে, ভাবলেও গর্বে বুক ফুলে ওঠে:

⭕স্টারলিং (Starlink) বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন, কানেক্টিভিটির নতুন যুগের সূচনা করেছেন।

⭕নাসার সঙ্গে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার চুক্তি হয়েছে।

⭕বিদেশি এক ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, যার মাধ্যমে ১০০ কোটি ডলার এই বছরেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ আসছে।

⭕৫টি মালবাহী জাহাজ ইতিমধ্যে কেনা হয়েছে—বন্দর ও লজিস্টিক খাতে বিশাল অগ্রগতি।

⭕রিভার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা চলছে, যার মাধ্যমে নদীভিত্তিক অর্থনীতি জেগে উঠবে।

⭕৪টি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল বিদেশি বিনিয়োগে গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে।

⭕ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ইলেকট্রিক বা বুলেট ট্রেন চালুর জন্যও বৈদেশিক বিনিয়োগ সংগ্রহের কাজ চলছে।

⭕এরই মধ্যে ১০টি ইকোনমিক জোন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

তার লক্ষ্য একটাই—১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ দেশে আনা, যার মাধ্যমে ৩ কোটি মানুষের জীবন বদলে যাবে, সৃষ্টি হবে কমপক্ষে ১ লাখ নতুন কর্মসংস্থান।

এইসব কিছু কিন্তু হচ্ছে একেবারেই নীরবে, চোখে পড়ার আগেই কাজ দিয়ে প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। এই মানুষগুলো—আশিক চৌধুরী, খলিলুর রহমান, শফিকুল আলম—যদি ধারাবাহিকভাবে কাজ করার সুযোগ ও রাষ্ট্রীয় সমর্থন পায়, বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার মতো উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। হয়তো মাত্র তিন বছর।

তাদের কাজ করতে দাও, সাপোর্ট করো। ইতিহাস গড়তে সময় লাগে না, লাগে সঠিক মানুষ আর সিদ্ধান্ত। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ বদলাবে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version