আজ বুধবার (২৫শে সেপ্টেম্বর) ছিল ডরপের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। উক্ত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান নূরুল আমিন (বিশিষ্ট ব্যাংকার)বর্তমানে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান। ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট লেখিকা রোকেয়া ইসলাম সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব আজহার আলী তালুকদার, প্রতিষ্ঠাতা এ এইচ এম নোমান উপ প্রধান নির্বাহী যুবায়ের হাসান।
ডরপের ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলাম বলেন, ডরপ একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা যার ঝুলিতে আছে আমার অসংখ্য গৌরবোজ্জ্বল কর্মময় স্মৃতি। এই সংস্থাটিকে সারা দেশের মানুষ এক নামে মাতৃত্বকালীন ভাতার প্রবর্তক সংস্থা হিসাবে চিনে।
হাঁটি হাঁটি পাপা করে অতিক্রম করলো সাফল্যের ৩৭ বছর। শুরু হলো সাহসের ৩৮ বছর। এখানে উন্মুক্ত উদার খোলা জানালায় বসে বৃহষ্পতির আড্ডার সাহিত্যের সৌরভময় আসর হয়। দেশ বরেণ্য লেখকদের লেখায় পরিপূর্ণ হয় “জলের গল্প ” “বৃহস্পতির আড্ডার গল্প সংখ্যা “দেশ বিদেশের কবিরা কবিতা পড়েন এখানে। আজ ছিল ডরপের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
সকালের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অতিক্রম করে মিষ্টি রোদেলা দিনে যাপিত হলো আনন্দ আয়োজন। শুভেচ্ছা প্রতিষ্ঠাতা উন্নয়ন কর্মী এ এইচ এম নোমান, উপ নির্বাহী যুবায়ের হাসানসহ ডরপ পরিবারের সকল সদস্যদের। চেয়ারম্যান নূরুল আমিন ডরপ পরিবারের একান্ত স্বজন সাবেক সচিব আজহার আলী তালুকদারসহ নির্বাহী সদস্য সকলের জন্য শুভকামনা জানান মিস রোকেয়া ইসলাম।
ডরপ এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মিস রোকেয়া ইসলাম আরও বলেন, গ্রামীণ দরিদ্রদের উন্নয়ন সংস্থা ডরপ। একটি জাতীয় বেসরকারি সংস্থা এনজিও বটে। বাংলাদেশে দীর্ঘ ৩৭ বছর সময় ধরে এই সংস্থাটি উন্নয়ণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমানের ভালো কাজ করে আসছে। সংস্থাটির অভিজ্ঞতাগুলি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং নানাবিধ কর্মের মাধ্যমে ডরপ নিজেকে বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে।
সংগঠনের পথপ্রদর্শক এবং প্রতিষ্ঠাতা এ এইচ এম নোমান দেশের প্রথম প্রজন্মের উন্নয়ন কর্মী, তার সঙ্গী সাথীদেরকে যাদের উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদেরকে সংগে নিয়ে মানবতার কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
১৯৭০ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঠিক আগে একটি প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় সৃষ্টি করে এবং উপকূলীয় এলাকায় প্রায় এক মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। সেই সময় লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তর্গত রামগতি থানার কিছু যুবক (মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকাগুলির মধ্যে একটি এলাকায় ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য সংগঠিত হয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার পরে এটি উপলব্ধি করা হয়েছিল যে ত্রাণ শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করতে পারে তবে স্বনির্ভরতার জন্য আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন। এই উপলব্ধি থেকেই তারা রামগতি কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি নামে ক্ষতিগ্রস্তদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি সমবায় আন্দোলন শুরু করে।