বিবিসি জানিয়েছে,জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনে নিহত ৭০ হাজার ১১২ রুশ সেনার নাম শনাক্ত করেছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কেননা কিছু পরিবার নিহত স্বজনদের বিস্তারিত তথ্য বিসিবি দেয়নি। ফলে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া রাশিয়ার অধিকৃত নেৎস্ক ও লুহানস্কে নিহতদের নামও তালিকায় যুক্ত করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত সেনাদের মধ্যে ১৩ হাজার ৭৮১ জন স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন, যা মোট নিহত সেনার প্রায় ২০ শতাংশ। এ ছাড়া যুদ্ধে সাজা মওকুফের বিনিময়ে অনেক অপরাধীও যোগ দিয়েছেন। এর আগে এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। বর্তমানে এ সংখ্যা ১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাধারণ বেসামরিক–সেনাসদস্যের হার ১৩ শতাংশ।
এতে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০০ স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। কোনো সপ্তাহে তা ৩১০ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেঝে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধে নিহত সেনাদের বিষয়ে খুবই কম মন্তব্য করে ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের ৩১ হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে বলে অনুমান মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের।
জাতিসংঘের তথ্যমেতে, দুই বছরের এই যুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ৬৫ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। এ ছাড়া দেশের ভেতরে আরও ৩৭ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন।
তবে এত দিন পার হলেও নিকট ভবিষ্যতে এই যুদ্ধ শেষ হবে, এমন সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কেননা কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। এ ছাড়া দুপক্ষের মধ্যে মতবিরোধও যথেষ্ট তীব্র।
কিয়েভের দাবি, ইউক্রেনের অধিকৃত সব ভূমি থেকে রাশিয়ানদের বিতাড়ন, রুশ বাহিনীর প্রত্যাহার এবং ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক ক্ষতিপূরণ। অন্যদিকে মস্কোর দাবি, ইউক্রেনকে জোট নিরপেক্ষ নীতিতে ফিরতে হবে। এর পাশাপাশি ইউক্রেনে বসবাসরত রুশ ভাষাভাষি নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে