Home জাতীয় প্রশাসনের ভিতরে এখনও স্বৈরাচারের অসংখ্য ভূত উৎ পেতে বসে আছে: মির্জা ফখরুল

প্রশাসনের ভিতরে এখনও স্বৈরাচারের অসংখ্য ভূত উৎ পেতে বসে আছে: মির্জা ফখরুল

0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রশাসনের ভিতরে এখনও ‘স্বৈরাচারের অসংখ্য ভূত’ উৎ পেতে বসে আছে। এই ভূতগুলোই এতদিন জনগণের ওপর অত্যাচার,জুলুম, নির্যাতন,নিপীড়ন চালিয়েছে। যারা দুর্নীতি করে, লুটপাট করে দেশটাকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অনতিবিলম্বে এই ভূতগুলোকে দূর করতে হবে। নইলে আপনি নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে পারবেন না।

রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে জাতীয় শিক্ষক দিবস সমাবেশ হয়। উক্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ড.মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়েছে আতে যেমন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার পুন্ন সমর্থনের রয়েছে সেই সাথে আমাদেরও পুন্ন সমর্থন রয়েছে। আমরা সবাই মিলেই এই সরকারকে দেশ সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করছি। আমরা তাদের অবশ্যই সময় দিচ্ছি, সময় দেব। তবে প্রশ্ন রাখি আমরা আপনাদের কতদিন সময় দিবো।

আমরা সে পর্যন্ত সময় দিবো যে পর্যন্ত একটা যৌক্তিক সময়ে তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি করতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি, রাজনীতি করি, আন্দোলন করেছি, জান দিয়েছি-প্রাণ দিয়েছি একটা লক্ষ্য ও উদ্যেশ্যকে সামনে নিয়ে প্রথমত আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা কোন বিরাজনীতিকরণের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আবারও মাইনাস টু হোক আমরা চাই না। আমরা বাংলার জমিনে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দেখতে চাই না। আমরা সত্যিকার অর্থে দেশে একটা ‍সুন্দর গণতান্ত্রিক ধারা চালু হোক সেটার জন্য অপেক্ষা করছি আর তার জন্যে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছি।

মির্জা ফখরুল আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা কখনই ব্যর্থ হইনি, আমরা ’৫২ সালে জয়ী হয়েছি, ’৬৯ এ জয়ী হয়েছি ’৭১ জয়ী হয়েছি, আমরা ’৯০-এ জয়ী হয়েছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমাদের

‘শিক্ষক জাতীয়করণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয়করণ হলেই আপনাদের সব সমস্যার যে সমাধান আসবে তা নয়। শিক্ষার মান বাড়াতে হবে, যোগ্য মানুষকে নিয়ে আসতে হবে।

‘শিক্ষকদের দলকানা হলে চলবে না’ মির্জা ফখরুল বলেন, আরেকটা কথা বলি, এটা আমার নিজের কথা… শিক্ষকদের দলকানা হলে চলবে না। শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি থেকে একটু দূরে থাকতে হবে। তা না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে না। কথাটা আপনাদের ভালো লাগবে না… আমি জানি। আওয়ামী লীগ যে অবস্থা তৈরি করে দিয়ে গেছে সেই পিয়ন থেকে গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের লোক। এ অবস্থা থেকে আমাদের বের করে নিয়ে আসতে হবে…বের করে নিয়ে এসে ভালো সুস্থ পরিবেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যারা জনগণের সাথে সম্পর্ক আছে, যারা শিক্ষিত, যারা কাজ করতে পারবেন তাদের নিয়ে আসতে হবে।এটা যদি আপনারা মন থেকে করতে পারেন তাহলে পরিবর্তন হবে, নইলে পরিবর্তন হবে না।

পরিবর্তনে দেশে নতুন সম্ভাবনার আশার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি খুব আশাবাদী মানুষ। অনেকেই বলে যে কি হলো? বলি এই পর্যন্ত তো হলো… হাসিনা পালায়ে গেছে- এই পর্যন্ত তো হলো। পার্লামেন্ট ভেঙে গেল, এটা হলো না, ম্যাডাম মুক্তি পেলেন- এটা হলো না। এখন পরিবর্তন আনতে হবে। এর জন্য কাজ করতে হবে। দরকার হলে আবার রাজপথে নামতে হবে, দরকার হলে আবার বুকের রক্ত দিতে হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এ দেশের সত্যিকার অর্থে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করব, ম্যাডামের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করব, তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করব।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version