স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামল ছিল গুম, খুনের এক ঐতিহাসিক রাজত্বকাল। যার নির্যাতন আর নিপীড়নের কথা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মর অন্তরে সহস্র বছর পরও ঘৃণা ভরে স্মরণ হবে। এতো ঘৃণিত এতো জঘন্য শাসনামল বাংলার ইতিহাসে কেন বিশ্বের ইতিহাসেও বিরল।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে দিশেহারা হয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার তার ১৫ বছরের রাজত্বকালের মমতাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জীন বাঁচাতে মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিশেই দেশ ছাড়ছে বাধ্য হয়।
সুত্র মতে জানা যায়, সেই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এতটা দিন শেখ হাসিনা ভারতেই অবস্থান করছিলেন। ইতি মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় ভারতে থাকার বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়।
ফলে, কয়েকদিন যাবৎ সোশাল মিডিয়ায় ব্যপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, শেখ হাসিনা ভারত থেকে অন্য কোন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে ইউরোপ নাকি মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন, সে বিষয়ে কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ভারত সরকারও স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি।
শেখ হাসিনা কোন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তা নিয়ে ধূম্রজাল তৈরি হলেও বাংলাদেশের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের অনলাইন পোর্টালে এ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেখানে দাবি করা হয়, শেখ হাসিনা ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে অবস্থান করছেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটির আজমান শহরে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরব আমিরাতের আজমান শহরে শামীম ওসমানের একটি বাড়ি আছে এবং সেখানেই তিনি উঠেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উক্ত প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ভারত ছেড়েছেন কয়েকটি সূত্রে তা জানা গেছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশে শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। ফলে ড. ইউনূসের সরকার চান, শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করাতে।