ইসরায়েলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে, বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ করা হয়েছে। জর্ডানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সাময়িকভাবে তাদের দেশের বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গতকাল লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করলে তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। এর আগে ইসরায়েলে ইরানের সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠক শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে আত্মরক্ষা এবং এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে রক্ষা করতে ইসরায়েলকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত রয়েছে।এ নিয়ে তাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্দা জানিয়ে আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। এক্সের একটি পোস্টে বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই থামাতে হবে।’
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বার্তায় দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।’ হামলার কিছুক্ষণ পর আকিভা এলডার নামে তেল আবিবের এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে আলজাজিরা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে খুব একটা দূরে নই। আমরা এখনো তেল আবিবে সাইরেন শুনতে পাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ যুদ্ধ চলছে ততক্ষণ আমরা সত্যিই নিরাপদ নই। আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, নিরাপদ কক্ষ এবং বোমা শেল্টারে থাকার জন্য। কিন্তু যারা বাড়িতে অবস্থান করছেন, তাদের কী হবে।’