গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছিল অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। সব মিলিয়ে শঙ্কা-ভয়-বিতর্ক নিয়েই ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামা। কিন্তু মাঠের ফুটবলে জটিলতার কোনো লক্ষণ ছিল না। ভারতকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে গেল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে হতাশার ড্র দিয়ে আসর শুরু হয় পিটার বাটলারের দলের। ভারত ম্যাচের আগে সব জটিলতার লাগাম টেনে দলকে এক সুতোয় গাঁথেন পারেন কোচ। দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সেরা দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫-২ গোলে জয়ের সুবাদে গ্রুপের দ্বিতীয় দল বাংলাদেশের সঙ্গী হলো ভারত।
দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ১৯ মিনিটে সাবিনা খাতুনের কর্নার ভারতীয় গোলরক্ষক পন্থই চানুর হাত ঘুরে ফাঁকায় থাকা আফিদা খন্দকারের পায়ে আসে। প্রথমে বল নিয়ন্ত্রণে নেওয়া বাংলাদেশি সেন্টারব্যাকের বুদ্ধিদীপ্ত চিপ ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়ায়—
১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত ২৬ মিনিটে; কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়ালো শট পোস্টে প্রতিহত হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও এ উইঙ্গারের দারুণ প্রচেষ্টা ক্রসবারে প্রতিহত হয়েছিল।
২৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। গোলের উৎস আসরের শুরু থেকে দারুণ ছন্দে খেলতে থাকা ঋতুপর্ণা চাকমার ক্রস। ৪২ মিনিটে শামসুন নাহার জুনিয়রের পাস থেকে জোড়ালো শটে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলের লিড এনে দেন তহুরা খাতুন। তহুরা ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করার পরই গোল করে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল ভারত।
বিরতির পর ভারত সর্বস্ব উজাড় করে সমতার চেষ্টা চালিয়েছে বটে। সুফল অবশ্য তোলা যায়নি। আস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ রক্ষণ প্রতিপক্ষ দলের সকল আক্রমণ প্রতিরোধ করে গেছে। একাধিকবার রক্ষণ ভেদ করা গেলেও আসরের সেরা গোলরক্ষক রুপনা চাকমার দেয়াল টপকাতে পারেনি ভারত।