Home অন্যান্য আমরা চার বোন

আমরা চার বোন

নূর উন নাহার মেরী, কবি ও সাহিত্যিক || চেয়ারম্যান, জাগো নারী ফাউন্ডেশন

0

চার বোনের মধ্যে ছোট বোন নাছরীন আজিজ ডলী পেশাগত জীবনে একজন International Fashion Designer, একজন Ex School Teacher, একজন Social Worker ও সাংস্কৃতিক জগতের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে তার নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে। একজন সুন্দর ও সফল উপস্থাপিকা হিসেবে লন্ডনস্থ Bangla Radio ‘র উপস্থাপিকা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছে। বর্তমানে সে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে থাকেন।

আমার অন্য দুই বোনের তুলনায় ছোট বোন ডলীর সাথে যথেষ্ট বেশি সময় অতিবাহিত করার সুযোগ পেয়েছিলাম জীবনে। এটা আমার জীবনের অনেক মূল্যবান একটি বিষয়।

১৯৮১ সালে প্রথমবারের মত যখন আমি আমেরিকায় Official Training এ যাই দেশে ফেরার পথে London e stop ওভার করেছিলাম মাত্র ১৫ দিনের জন্য। ঐ সময় ছোট বোন ডলী, আজিজ তারা সদ্য বিবাহিত নবদম্পতি। আমাকে পেয়ে তারা দু’জনে এতোটাই খুশি হয়েছিল যে বলার ভাষা নেই।

মাত্র ১৫ দিন ছিলাম এই ১৫ দিনের প্রতিটি মুহুর্ত দারুন ভাবে উপভোগ করেছি ডলী আজিজ নব দম্পতির সাথে। গানের আসর, জমকালো আড্ডার আসর, সারা লন্ডন শহর আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো। প্রায় প্রতিদিন দামী দামী রেষ্টুটুরেন্ট / হোটেলে খাওয়া দাওয়া। আজিজের সব বন্ধুদের বাসায় পালাক্রমে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে যাওয়া আরও কত কিছু সত্যিই দিনগুলো রোমাঞ্চকর ছিল।

দ্বিতীয়বারও নরওয়ে খেকে ফেরার পথে এক মাস অবস্থান করেছিলাম ছোট বোন ডলীর বাসায়। তৃতীয় বারও চাকুরীস্থল BSC’র Official short
training on Inshurace Marketing at World Famous Lloyds Insurance Co লন্ডন বোন ডলীর বাসায়। চতুর্থ বারও সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্হিত থাকার জন্য। এছাড়া Jago Nari Foundation London Brnch উদ্ভোদন করার পর থেকে প্রায় প্রতি দুই বৎসর পর পরই যেতে হতো আমাকে।

এবার মূল গল্পে ফিরে আসিঃ
মেঝ বোন ইয়াসমীন ওরফে লুসীর স্বামী USAID এ চাকুরী করতো বিধায় এশিয়া ,আফ্রিকা এবং দক্ষিন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পোস্টিং থাকতো তার। ফলে দেশে আসার আন্তরিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আসা তার সম্ভব হয়ে উঠতো না।

সেঝো বোন নাসিমা আক্তার রোজী ১৯৮৫ সাল খেকে আমেরিকায় স্বপরিবারে বসবাসরত ছিল। সে একটানা ২০ বছর বাংলাদেশে আসতে পারে নাই সংগত কিছু কারণের জন্য।

২০০২ সালে আমি ব্যাক্তিগত ও সাংগঠনিক সফরে আমেরিকায় যাই তখন দেখা হয়েছিল দুই বোন লুসী ও রোজীর সাথে প্রায় ১৭ বৎসর পর।

সেই প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই নির্নয় করে দেখলাম যে সৌভাগ্যক্রমে ডলী ও ডাঃ আব্দুল আজিজ দম্পতির সাখে আমার বহুবার দেখা হয়েছে লন্ডনে। রয়েছে তাদের সাথে বহু মূল্যবান সময় অতিবাহিত করার স্মৃতি।

বিশেষ করে ডাঃ আব্দুল আজিজ পেশাগত জীবনে একজন চিকিৎসক কিন্তু ব্যাক্তিয় জীবনে একজন মানব হিতৈষী, সমাজ সেবক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তার আরও একটি বিশেষ পরিচয় আছে সেটা হলো সে একজন বড় মাপের ভ্রমন পিপাসু মানুষ। পৃথিবীময় ঘুরে বেড়ানোই যেনো তার আনন্দ বিলাশ। এই বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে সারা রাত ধরে লিখলেও লেখা শেষ করতে পারবো না।

জীবনটা অনেক স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্তে মাখা। যা বলে শেষ করা যাবেনা। তবে আরও কিছু স্মৃতি মাখা দিনগুলি নিয়ে অন্য একদিন লিখবো এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে আজকের মত এখানেই সমাপ্তি ঘোষনা করছি। সবার জীবন সুন্দর হোক।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version