Home অন্যান্য বগুড়ায় উৎসবকে সামনে রেখে প্রতি কেজি আলুর দাম ৪০০ টাকা

বগুড়ায় উৎসবকে সামনে রেখে প্রতি কেজি আলুর দাম ৪০০ টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট

0

বগুড়ায় উৎসবকে সামনে রেখে প্রতি কেজি আলুর দাম ৪০০ টাকা

বগুড়ায় নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে বাজারে এসেছে নতুন আলুসহ নানা জাতের শীতকালীন শাকসবজি। তবে সবকিছুর মূল্যই এখন আকাশচুম্বী। প্রতি কেজি ভালো মানের পাগরি আলু মিলছে কেজি দরে ৪০০ টাকা।

শহরের রাজাবাজার, ফতেহআলী বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। মূল্য বেশি হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতাদের ইচ্ছা থাকলেও নিতে হচ্ছে মুখ ফিরিয়ে।

নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে বগুড়ার কৃষকরা আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজির আগাম চাষাবাদ করেন। তবে সবকিছুর মূল্য অনেক বেশি। নতুন পাগরি জাতের আলু প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

নবান্ন উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের কাছে নতুন আলুর চাহিদা বেশি। তাই তারা বাজারে আনা ছোট ও মাঝারি আকারের আলু বেশি কিনছেন। মূল্য বেশি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা বলেন, সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি তাই দাম একটু বেশি। তবে বিকালের দিকে আলুর দাম সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় নেমে আসে।

রাজাবাজারে নতুন আলু কিনতে আসা শহরের শিববাটি এলাকার বিপুল চন্দ্র সাহা জানান, নবান্ন আমাদের প্রিয় উৎসব। প্রতি বছরের মতো এবার নতুন চাল আর আলু দিয়ে পিঠাপুলি বানিয়ে উৎসব করা হবে। তবে এ বছর আলুর দাম বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেশি।

একই ধরনের মন্তব্য করেন শহরের ডালপট্টির সীমা মুখার্জি। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ১ অগ্রহায়ণ নবান্ন উৎসবে নতুন কাঁচা শাকসবজির দাম চড়া থাকে। তবে এ বছর আলুর দাম অনেক বেশি। এক কেজি আলু প্রয়োজন ছিল, তাই আধা কেজি কিনেছি।’ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, বাজারে কারও নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের গলা কাটছেন।

রাজাবাজারের ব্যবসায়ী মিজান বলেন, মহাস্থান হাটে এক পাইকারের কাছে ২০ কেজি নতুন আলু কিনেছি। দাম বেশি হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।

শহরের ফতেহআলী বাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাহাদত হোসেন জানান, আলু বড় সাইজের না হলেও উৎসবের কারণে দাম বেশি। বেশি দামে কিনতে হওয়ায় তারাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।

বগুড়ার রাজাবাজার আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজ বলেন, প্রতি বছরই নবান্ন উৎসবের সময় বাজারে নতুন আলু আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নয়; সবাই তরকারি রান্না ও ভর্তাছানা খাওয়ার জন্য নতুন আলু কিনে থাকেন। এ সময় আলুর দাম চড়াই থাকে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version