সুনাগরিকগণ বিষন্ন নিশ্চুপ
অমানিশার ঘোর অন্ধকারে অকস্মাৎ
কাঠফাঁটা রোদ্রতাপে দিনাতিপাত করছে শুরু করল
আর সুশীল সমাজ সেতো বিদ্রুত করে বসলো
ভীষণ ভীষণ ক্ষোভে বিদ্রোহ করল
ভালোইতো চলছিল দিনকাল
স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে মষিত ভয় দেখিয়ে
রোজ হাতিয়ে সরকারি উপঢৌকন,
জৌলুশ জীবন যাপন! কারও কারও
গাড়ি, বাড়ি, নারী, সীমাহীন আনন্দ,
নাইট ক্লাবে উদাম নর্তকীর নৃত্যে বেহুশ
সুশীল সমাজ। হায়! হায়! সবি বুঝি যায় যায়!
অবশেষে তাই হতে চলল
অকস্মাৎ পতনের ডাক দিলো ছাত্র সমাজ
সাথে গণমানুষ। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হলো রাজপথ
স্বৈরাচার নিপাত যাক; গণতন্ত্র মুক্তি পাক!
সুশীল সমাজ এবার অস্থিরতার শীর্ষে।
মনোনিবেশ করলো রাজাধিরাজ এর সংগে
চালাও গুলি যতক্ষণ না এদের তেজের সমাপ্তি ঘটে
প্রজাতন্ত্রে রাজা সে মতে উদ্ভুদ্ধ হয়ে প্রজার টেক্সের
টাকায় কেনা বুলেট ছাত্র জনতার উপরই ছুটলো
দেশের স্বৈরাচারী শাসক গণহত্যার সুচনা করলো
প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের গুলিতে রংপুরের তরুণ
ছাত্র আবু সাঈদ শহীদ হলেন। বাংলার আকাশজুড়ে
ছড়িয়ে পড়ল মেঘের দামামা।
সারা বাংলার ছাত্র জনতা একজোটে
মৃত্যুকে আলিংগন করে নিল।
দেশের প্রধান, দেশদ্রোহী দালাল, সুশীল সমাজ আমলা
তখনো মদ মাগী আর নৃত্য ঘরের আনন্দে একাকার
রাজপথ লাশের মিছিল! একটা লাশ পরে লক্ষ লাশ
মত্যুর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। যেন ডর নেই প্রাণে
যেন মৃত্যু তাদের পক্ষে যুদ্ধে অবতীর্ণ।
“লাঠি মার ভাংরে তালা যত সব বন্দীশালা
আগুন জ্বালা জ্বালা এক সাথে এক সাথে”
পাঠে মুহদগ হলাম
অসাধারণ লিখনী শৈলী।