সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ড.মুহাম্মদ ইউনুস এই প্রথমবারের মত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের নতুন সরকার প্রধান হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশের জন্য এর চেয়ে বৃহৎ (শক্তিশালী) ও সম্মানের প্রতিনিধি আর হয়না। কারণ ড. ইউনূস নিজে সরকার প্রধান এবং তিনি একজন বিশ্ববরেণ্য অর্থনীতিবিদ। বিশ্বনেতাদের কাছে তার আলাদা একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে। তার মুখ থেকে বিশ্বনেতারা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে শুনলে দেশের প্রেক্ষাপট, বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতে এটি কোথায় যেতে পারে তা ধারনা করা যেতেই পারে।
ড. হুমায়ূন ইউনুস বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সাইডলাইনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কিছু বৈঠক তিনি করবেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকটাই হবে সবচেয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নতুন বাস্তবতায় বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক হওয়াটা খুবই জরুরী বলে তিনি উল্লেখ্য করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনুস আরও বলেন, তাদের কাছ থেকে আমরা যে বিভিন্ন সহযোগীতা পেতে পারি সে সম্ভাবনা ছাড়াও, বর্তমানে আঞ্চলিকভাবে আমরা কিছু প্রতিকূলতার মুখে আছি। সেইক্ষেত্রে আমার ধারণা বাইডেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আলোকে এ বিষয়ে আমাদের সহায়তা করতে পারেন। সেটি যদি হয় তাহলে এটি বাংলাদেশের জন্য হবে খুবই ইতিবাচক কিছু।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার ৫৭ সফরসঙ্গী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ভোর ৫টা ৫মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখবেন। তার বক্তব্যে জনভিত্তিক, কল্যাণমুখী ও জনস্বার্থে নিবেদিত একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।