Home আইন-অপরাধ আপনারা না পারলে আমাদের দায়িত্ব দেনঃ সারজিস আলম

আপনারা না পারলে আমাদের দায়িত্ব দেনঃ সারজিস আলম

ডেস্ক রিপোর্ট

0

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম তার ফেসবুক প্রোফাইলে আক্ষেপ করে লিখেন,

“যারা জীবন দিয়ে ও রক্ত দিয়ে এই বিজয় আনতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখলো তাদের চিকিৎসা আর আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে সরকারের এতো দীর্ঘসুত্রিতা কেন। আপনারা না পারলে আমাদের দায়িত্ব দেন।”

অদ্যাবধি স্ট্যাটাসটিতে কমেন্ট করেছেন ৩ হাজারেরও অধিক পাঠক। শেয়ার নিয়েছেন ৪ শত ৩৬ জনেরও অধিক। তাদের মধ্যে সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইনের করা কমেন্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসেন বড় কষ্টকে বোকে চাপা দিয়েই লিখেছেন, চব্বিশের বিপ্লবে আমার কোনো কৃতিত্ব নাই। যারা ফ্যাসিস্টের পোষা পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন, স্বজন হারিয়েছেন, পুরো কৃতিত্ব তাঁদের।

আপনি কিংবা আমি সুস্থভাবে নতুন বাংলাদেশের রঙ দেখতে পারছি, হাঁটতে পারছি। কেউ কেউ নতুন দেশ গড়তে গিয়ে চিরকালের জন্য পৃথিবী দেখার আলো হারিয়েছে, কেউ কেউ নতুন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে পারছে না, তার পা নেই বলে।

নিজেকে কৃতিত্ব না দিয়ে তাঁদেরকে দিন, যারা নিজেদের আলো হারিয়ে আপনাদেরকে আলোকিত করেছে। যারা নিজেরা না হাঁটতে পারলেও আপনাদেরকে স্বাধীন ভূমিতে হাঁটতে শিখিয়েছে।

আফিম সারোয়ার নামে আরেকজন মন্তব্যকারী মন্তব্য করে লিখেছেন, আজকে শেখ হাসিনা পতনের দ্বিতীয় মাস কিন্তু এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের খুনি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটা চিরুনি অভিযান তারা করতে পারল না।

আমরা যে আওয়ামী লীগের বিপুল অ*স্ত্রশস্ত্র দেখলাম সে অস্ত্রগুলোও তারা জব্দ করতে পারেনি। এই সরকার সময় ক্ষেপণ করে আওয়ামী লীগের নেতাদের দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্রাট, নিখিল, কমিশনার আসিফ, রাজিব, ইলিয়াস মোল্লাহ্ এরা এখনো কারাগারের বাইরে কেন? হয়তোবা এরা এতদিনে দেশ ছেরে চলে গেছে।

এটাই এই ইউনুস সরকারের প্রথম কাজ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীকে ছেড়ে দিয়ে শুধু আওয়ামী লীগের নামটাকে অথবা মার্কাটাকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করতে চায়। এর পিছনে আসল কারণ হচ্ছে তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে ভোটের রাজনীতিতে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় আর কিছু না।

বাংলাদেশে যে কোন আসনে ধানের শীষ আর নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে গিয়ে কোন উপদেষ্টাই কোনদিনও নির্বাচিত হতে পারবে না। এটাই হলো বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতির আসল রূপ। এখন যদি বড় দুই দলের থেকে যেকোনো একটি বাদ পড়ে তাহলে তো নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনাটাও বেড়ে যায়।

আকলিমা আলি নামের একজন লেখেন, ‘নিজেদের দায়িত্ব নিজেরাই নিতে হবে। গত ১৫ বছরে দিকে তাকান। কিছু তো শিক্ষা আমরা পেয়েছি বিগত দিনগুলো থেকে। সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন হতে বলেন যেন আর কোনো দল আমাদের ভারাটিয়া মনে না করে। দেশ আমাদের সবার। তাই অন্যের আসায় বসে না থেকে দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে নিতে হবে। আর মনে রাখতে হবে দশের লাঠি একের বোঝা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version