৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে দিশেহারা হয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বর্তমানে ভারতে তিনি কোন স্ট্যাটাসে অবস্থান করছেন তা নিয়ে জানার কৌতুহল রয়েছে সবার। সম্প্রতি দেশি বিদেশি কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারত সরকার শেখ হাসিনাক আওয়ামী সভানেত্রীকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, যে কোন দেশ চাইলে ট্রাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করতেই পারেন এটা ঠেকানো যাবেনা। ট্রাভেল ডকুমেন্টখ হাসিনাকে দেওয়ার কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কোনই অবনতি ঘটবে না বলে তিনি জানান। তবে কোনো মামলায় যদি আদালত শেখ হাসিনাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
গতকাল শনিবার (১২অক্টোবর) বিকেলে নরসিংদী সেবা সংঘে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয়ে টানাপোড়া ছিল তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব আমরা। আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক বিদ্যমান আছে তার কোন অবনতি হবেনা বরং সামনের দিকে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
পার্শবর্তী দেশ হিসেবে আমাদের যেমন ভারতের প্রয়োজন আছে তেমনি ভারতেরও আমাদের প্রয়োজন আছে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক নেতার বরাতে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সেই ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে বিশ্বের যে কোন দেশের ভিসা নিয়ে ভ্রমণও করতে পারবেন শেখ হাসিনা। যদিও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন মন্তব্য করেনি ভারত।
পূজা উদযাপন নিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারা দেশে শান্তিপূর্ণভাবেই পূজা উদযাপন হচ্ছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটেনি। । তিনি বলেন, দেশে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।