সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা।
২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাঙালি জনগণের উপর আক্রমণ করলে তিনি তার পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে বিদ্রোহ করেন এবং সাহসিকতার সাথে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরে ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের নামে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সমর্থনে একটি বিবৃতি পাঠ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করে।
এএএ
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এসেছে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে।
তার বিরুদ্ধে একটা মানহানিকর মামলা দায়ের ১০০ কোটি টাকার। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. রেজোয়ান কবির বাদী হয়ে মাগুরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামি শমী কায়সার বাংলাদেশের একজন অভিনেত্রী হয়েও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে অবিশ্বাসী, রাজনৈতিক ব্যক্তির চরিত্র হননকারী, মুক্তিযুদ্ধের বিভেদ সৃষ্টীকারী। এই অভিনেত্রী নানা সময়ে আমাদের আবেগের জায়গা, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন।
গত ১৬ বছর তিনি নানা সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এসব অপপ্রচার চালিয়েছেন। তিনি প্রয়াত প্রেসিডেন্ট, স্বাধীনতার ঘোষককে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন।
ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। মামলার সাক্ষীরা হলেন শহরের পারনান্দুয়ালি এলাকার মো. সোহেল পারভেজ, দরিমাগুরার কাজী জাকির হোসেন ও একই এলাকার জহির রায়হান। এ ছাড়া মামলায় পত্রিকার ফটোকপি এবং ইউটিবের প্রকাশিত আসামির বক্তব্য মেমোরি কার্ড দাখিল করা হয়েছে।