Home গণমাধ্যম মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আজ জন্মদিন

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আজ জন্মদিন

ডেস্ক রিপোর্ট

0

আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মদিন। তিনি ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।

মওলানা ভাসানী দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য সারা জীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম।

১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম যান মওলানা ভাসানী। ইসলামিক শিক্ষার উদ্দেশে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ গিয়ে দুই বছর অধ্যয়নের পর আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ময়মনসিংহ সফরে এলে তার ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হন ভাসানী।

১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদানের পর খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ১০ মাস কারাভোগ করেন তিনি। ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটান মওলানা ভাসানী। ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসানচরে প্রথম কৃষক সম্মেলন করেন তিনি। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী যুক্ত হয়। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজ সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন ভাসানী।

১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে আমরা আজকে বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে পাকিস্তান হতো না, পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ হতো না। বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এ অবস্থা হতো না। তার অনাধর দেখে খুব কষ্ট লাগে, খুব খারাপ লাগে। ’

রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেন, ‘অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ একটা মারাত্মক পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু অতীতকে বর্জন করে অস্বীকার করে, এই পরিবর্তন যদি কেউ করতে চায়, তাহলে আহাম্মকের স্বর্গেই বাস করছে। দুদিন পরে তাদেরও এ রকম হতে হবে। মানুষ খুব আশা করেছিল কিন্তু গত এই তিন মাসে মানুষের আশার মতো ফল পাইনি। সাধারণ মানুষের যে উপার্জন তারা বাজারে যেতে পারছে না।’

আব্দুল কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘যারা সরকার চালাচ্ছে তাদের অনুরোধ করব তারা যেন দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করেন। ক্ষমতা কারও জন্য চিরস্থায়ী নয়। যারা ছিলেন তাদের জন্য যেমন নয় আজকে যারা এসেছেন তাদের জন্যও চিরস্থায়ী নয়। এজন্য দেশের মানুষের কথা চিন্তা করুন। দেশের মানুষকে সম্মান করুন। অতীতকে সম্মান করুন। যাদের এই দেশের জন্য অবদান আছে তাদের যথাযথ যোগ্য সম্মান দিয়ে রাষ্ট্র চালাবার চেষ্টা করুন।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ চাই গণতন্ত্র, চাই ভোটাধিকার, শেখ হাসিনার এই রকম ন্যক্কারজনক পতনের প্রদান কারণ তিনি মানুষের ভোটাধিকারকে সম্মান করেননি। পরপর বেশ কয়েকবার মানুষকে সঠিকভাবে ভোট দিতে দেননি। যার ফল এটা হয়েছে এবং দীর্ঘ সময় মানুষকে ভোটাধিকার ছাড়া রাখলে এখন যারা আছে তাদের পরিণতি খুব ভালো হবে না। এটা আমার বিশ্বাস।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজীবসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version