সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর করে দুই পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। তার মাথায়ও কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সেলিম রেজার বাড়ি সদর উপজেলার পূর্বমোহনপুর গ্রামে। তিনি সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।
সেলিমের ছেলে আব্দুল জলিল বলেন, ‘সকালে ৩০-৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মী বাড়ির সামনে থেকে বাবাকে অটোভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা বাবাকে পিটিয়ে দুই পা, ডান হাত ভেঙে ফেলে। দুই পায়ের রগও কেটে দেয়। পরে তার মাথায় কুপিয়ে জখম করে অচেতন অবস্থায় পূর্ববাঐতারা স্কুলের সামনে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।’
জলিল জানান, সেলিমকে উদ্ধারের পর সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় নিয়ে তাকে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার পরিবার বা তার পক্ষে কারও অভিযোগ তারা পাননি।
সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম রাজা জানান, হামলার শিকার সেলিম রেজা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সরকার পতনের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিন দিন আগে বাড়ি ফেরেন। সেলিম বাড়ি ফেরার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরকার মো. রফিকুল ইসলাম। তার দাবি, সেলিমকে মারধরের সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যুবদলের দুই নেতা হত্যা মামলার আসামি সেলিম রেজা। এতদিন পলাতক ছিলেন। এলাকায় ফেরার পর স্থানীয় জনতা তাকে ধরে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।’