নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে টক শো আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। অবশেষে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শমতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।
সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিন। ছবি সংগৃহীত
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে টক শো আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। অবশেষে সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করেছেন তিনি।
আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি অনুষ্ঠান স্থগিতের ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শমতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। তিনি নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতিকে নিয়ে অনুষ্ঠানের ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে সরব হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমও।
হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ এবং জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।’
সারজিস আলম লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সঙ্গে টক শো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহীদের সঙ্গে বেইমানি, অর্ধলাখ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেইমানি।’