কোলেস্টেরল যদি বেশি থাকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চারটি খাবার যদি খাদ্য তালিকায় রাখেন তাহলে আপনার কোলেস্টেরল লেভেল কমে আসবে।
এক নম্বর খাবারটি হেলো ওটস:
বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এটা অ্যাভেলেবেল আছে তা কিন্তু না। কিন্তু যাদের কাছে অ্যাভেলেবেল আছে এবং ওটাকে সংগ্রহ করতে পারছেন তারা এটা খাবেন। ওটস এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যেটি দেখা যায় যে ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে অর্থাৎ এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। তখন আপনি কিন্তু ভালেঅ ফলাফল পাবেন। ব্রেকফাস্টে আপনি যদি একটু লো ফ্যাট মিল্কের সাথে একটু ওটস রাখতে পারেন, সেই সাথে যদি একটু টক ফল রাখতে পারেন এটা কিন্তু আপনার কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে খুব ভালো ভূমিকা পালন করে করবে। তাই ওটস যদি সংগ্রহ করতে পারেন সেটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
দুই নম্বর খাবারটি হচ্ছে বাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট:
বাদামের প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে। যেটি রক্তের এলডিএলটাকে অর্থাৎ ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে থাকে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কিন্তু আমাদের ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
তা ছাড়া আপনি কিন্তু পিনাট অর্থাৎ চিনা বাদাম খেতে পারেন। আপনি সেখান থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড পেয়ে যাচ্ছেন। যেটা আমাদের হার্টের জন্য ভালো এবং আমাদের কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে সাহায্য করে থাকে। প্রতিদিন যদি আপনি কাঠবাদাম খেতে চান তাহলে ১০ পিস কাঠ বাদাম রাখতে পারেন অথবা সামান্য পরিমাণে চিনাবাদাম রাখতে পারেন। সেটি কিন্তু আপনার কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে যথেষ্ট ভালো ভূমিকা পালন করবে।
তিন নম্বর খাবার হচ্ছে তৈলাক্ত মাছ বা সামুদ্রিক মাছ:
টুনা, সার্ডিন, স্যামন আমাদের দেশে বেশি অ্যাভেলেবেল না। আমাদের দেশে আছে রূপচাঁদা, ইলিশ মাছ। এগুলো কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। অর্থাৎ ভালো ফ্যাট রয়েছে, যেটি আমাদের এলডিএল কমাতে সাহায্য করে। ট্রাইগ্লিসারাইড যে কোলেস্টেরল সেটা কমাতে সাহায্য করে এবং এইচডিএল অর্থাৎ হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন ভালো কোলেস্ট্রল বাড়াতে বা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই সপ্তাহে অ্যাটলিস্ট ২-৩ দিন যদি তৈলাক্ত মাছ আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন সেটাও কিন্তু আপনার কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করবে।
চার নাম্বার খাবারটি হচ্ছে রসুন:
শুনতে অবাক লাগছে তাই না, হ্যাঁ রসুন কিন্তু কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে, যদিও আরও কিছু গবেষণা দরকার। তার পরেও মোটামুটি যে যতটুকু গবেষণায় উঠে এসেছে দেখা যাচ্ছে আপনি যদি প্রতিদিন এক কোয়া করে রসুন খান অর্থাৎ তিন থেকে ছয় গ্রাম পরিমাণ কাঁচা রসুন আপনি যদি খেতে পারেন খালি পেটে খেতে পারলে ভালো। আর যদি দেখেন যে খালি পেটে আপনার গ্যাস হচ্ছে বা ব্লটিং ফিল করছেন অথবা আপনার সুট হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে দিনের যে কোনও সময় আপনি কাঁচা রসুন এক কোয়া যদি খেতে পারেন সেটি কিন্তু ১০ শতাংশ পর্যন্ত আপনার কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে ব্যাড কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং হার্ট ভালো রাখে।