পাখিগুলোর নীড়ে বইছে কালবৈশাখী ঝড়
সূর্য ঘুমিয়েছে শরতের কাথা জল মুড়িয়ে
অলস মানুষগুলোর ঘুম ভাঙেনি তখনও
দুপুর গড়িয়েছে সেই কবে
ঝড়ো হাওয়াও বায়না ধরেছে
যতক্ষণ না পাখিগুলো মরে
তার আঁছড়েপড়া মেঘগুলোর তীব্রতায়
চড়ুই পাখির কোমল ডালা আর
আঁটসাঁট কোষগুলো চাদর খোঁজে।
সকালের পূর্ণতা কিংবা
রৌদ্রস্নাত সূর্য কখন আলো দিবে
মরিয়ায় মরন গুনে অসংখ্য শালিক দল
যখন বরষণ মেঘ ফুলের নরম দিলে মরণ দেয়
গোলাপীর পাপড়িগুলো খড়-সমভূমি স্পর্শ করে
তারপর একটি নীরব হাহাকারপূর্ণ কাতরতায়
জলস্রোতে ভেসে যায় ফুলের আর্তনাদ
একদল গায়ক বাড়ি ফিরে যায় গান গায়
মোরা এক জনমে হংস মিথুন ছিলাম।
ছোট ছোকরার নৌকা ডুবির শোক
নদীর মরণ জ্বলে শক্ত মাঝি গহন ডুবে
দুরের সমুদ্রে নাবিকের বিশেষ বার্তা
‘ও মাঝি গভীর জলে যেওনা’
ততক্ষণে গভীর জলেই মাঝি
মালজোড়া ফেলেছে
জীবনের ইতিহাস কারও কারও
সীমাহীন মত্যুকেও হার মানায়।
পুর্ণ বয়স্ক মেষশাবক পাহাড়িবর্ণ থেকে থেকে বিকট শব্দ, বাঁচাও বাঁচাও বাঁচাও।
জানিনা আদৌ কি বেঁচেছে নাকি
ট্রলারের ছোট্ট শিশুটার মত।
দলনেতা গান গা
‘এখন ত্রিগুণ নরম সঙ্গ
মৃত্যুর কাফেলা এলে বাঘ কিবা সিংহই
কচুরিপানার মত টলমল করে।
বাবুরা অসিদ থেকে ১১নং সতর্ক সংকেত দেয়
নিরাপদ আশ্রম থেকে সাইরেন বাজে
কিন্তু নৌকাতো স্রোতের বিপরীতে যখন
নিশ্চিত মরম আসে তখন
ডান হাতটার দুরত্বও অপরিসীম হয়।