নাটোর সদর উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয় যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান ওরফে বাবুকে। পেটানোর সাত দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৬নভেম্বর) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সাইদুর রহমান উকুফে বাবু বয়স ৪৫ সদর উপজেলার দরাপপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।
পআরিবারিক সূত্র মতে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান ও তাঁর ভাইদের বাড়িঘরে হামলা করা হয়।
তখন থেকে তিনি সহ তিন ভাইকে সংগে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। গত ৩০ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাইদুর রহমানকে আটক করে দরাপপুর বাজারে নিয়ে আসে দুর্বৃত্তরা।
সেখানে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যে রড ও লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিনই বিকেলে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
গুরুতর অবস্থা দেখে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
সাইদুরের ভাই ও স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম নান্নুর দাবি, তাঁর ছোট ভাইকে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। নিরাপত্তার স্বার্থে এখনও তিনি আত্মগোপনে আছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পেশায় মাছচাষি হলেও সাইদুর রহমান বিগত সরকারের আমলে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছেন। অনেককেই গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে অর্থ আদায়ের অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে। এ সব কারণে সাইদুরের ওপর স্থানীয়দের ক্ষোভ তৈরি হয়।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।