সোমবার, জানুয়ারি ৬, ২০২৫
Homeঅন্যান্যপ্রীতি ফুটবল ম্যাচ অত:পর

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অত:পর

নুর এমডি চৌধুরী সম্পাদক - বার্তা বাংলাদেশ২৪.কম

আমি তখন কুমিল্লাতে। আসরের নামাজের একটু আগ মুহূর্তে মোবাইলে আমাদের গুনারীতলা হাইস্কুল ফিল্ডের একটা লাইভ দেখছিলাম।

দেখলাম প্রিয় নেতা ফায়জুল ইসলাম লাঞ্জু ভাইকে। যাকে আমরা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা নামে জানি। সারি সারি উৎসুক জনতার ভীড়। বুঝিনি এমন একটা আকর্ষণীয় ম্যাচ হতে যাচ্ছে।

একটু পরই আজানের ধ্বনি বেঁজে উঠল। এরই মধ্যে বন্ধু মামুনের ফোন। আজান হচ্ছিল তাই ভাবছিলাম কলটা পরে রিসিভ করি কিন্তু পরপর বেজেই যাচ্ছিল। বাধ্য হলাম কলটা রিসিভ করতে।

বললাম দুস্ত বলো কেমন আছো কোথায় আছো। দুস্তের কন্ঠে আনন্দের উচ্ছ্বাস বইছে। বললো, আরে দুস্ত আমিতো গুনারীতলা স্কুল মাঠে। আমি অতোটা সিরিয়াস হলামনা কারণ একটু আগেও আমি সেই লাইভ ভিডিওটাই দেখছিলাম। সাবলিল ভাবেই উত্তর দিলাম। খেলা দেখছো। ও বললো হ্যা, তুমি চলে আসো। তখনও বুঝে উঠতে পারি নাই খেলাটা আমাদের মত বয়সী বনাম যোবক ছেলেদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ হতে যাচ্ছে।

গুনারীতলা স্কুল মাঠ তাও আবার ফুটবল খেলা বলে কথা! আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে নব্বই দশকের পুরোটা সময়জুড়ে এই স্কুল মাঠটিতে ছিল আমাদের একক বিচরণ। সে সময়টা ছিল বিনোদনের শ্রেষ্ঠ সময়। পুরো মাঠ জুড়েই কানায় কানায় ভরে থাকতো হাজার হাজার দর্শনার্থী।

বন্ধুর মুখে খেলার খবরটা শুনে মনে পড়ছিল সে সময়ের দিনগুলোর কথা। কি উচ্ছাসভরে খেলতাম ফুটবল স্টাইকারে। বল নিয়ে দৌড় দিলেই উৎসুক জনতার মুহুরমুহুর করতালি। প্রবল আনন্দ উচ্ছাসে কখন যে গোলবারে বল চতুরতায় ঠেলে দিতাম অবিশ্বাস্য মনে হতো। করতালির পর করতালি গোল গোল গোল। আহা! কোথা গেলো সেই দিন!

কেনেজিয়া আমার উপাধি ছিল। এই উপাধিটা দিয়েছিলেন বড় ভাই সুমন। শ্রদ্ধেয় নেতা জননেতা ফায়জুল ইসলাম লাঞ্জু ভাই আজ যার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ইঞ্জুরি এবং প্রিয় নেতাকে কেন্দ্র করেই মুলত আজকের লেখা আমার জননেতা লাঞ্জু ভাই উনার স্নেহাস্পদ ছোটভাই সুমন ভাই আমাদের সবার প্রিয় বন্ধুবর ছিলেন।

তৎকালীন সময়ে আলোচিত ফুটবল তারোকা ছিলেন কেনিজিয়া উনার মাথার চুলগুলি বেশ লম্বা ছিল আর আমার চুলগুলিও ছিল বেশ লম্বা আর লম্বা চুলের আশীর্বাদে হয়ে উঠেছিলাম কেনিজিয়ার মত বিশ্বখ্যাত তারকার শিস্য।

যাহোক, সে সময়ের রোমন্থন স্মৃতি বিজড়িত দিন গুলির কথা লিখতে যদি যাই হাজার দিনেও লিখে তার শেষ করা যাবেনা।

সেদিনের খেলাটা এতো অসাধারণ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ হবে আমি জানতাম যদি বয়স কোথায় বা কত ভুলে যেতাম অনায়াসে। হয়ে উঠতাম তরুণ টগবগে যোবক। ছুটে যেতাম সকল ব্যস্ততাকে পদদলিত করে স্কুল মাঠে। হাজারো অসুখ তখন আমার কাছে মনে হতো বিন্দু সদৃশ। কারণ আমি যে ফুটবল পিয়াসু! আমি যে ফুটবল পাগল।

উক্ত আনন্দ আয়োজন প্রীতি ফুটবল ম্যাচটিতে প্রিয়নেতার অংশ গ্রহণ রীতিমতো ইঞ্জুরি হয়ে হাসপাতালের বেডে কারণটি সত্যিকার অর্থে মর্মস্পর্শী রীতিমতো আহত করে যায় যদিও পাশাপাশি আনন্দেরও জোয়া বয়ে যায় মনজুড়ে সুঘ্রাণ ছিটিয়ে যায় বারবার আহা!কি দারুণ উপভোগ্যইনা ছিলো ফুটবল ম্যাচটি।

নুর এমডি চৌধুরী
কাজিপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬

- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here