মারা গেছেন বর্ষিয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। সোমবার (৬ জানুয়ারি) তার প্রথম জানাজা হবে এফডিসিতে, এরপর চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর দেওয়া তথ্যমতে জানাজা শেষে বর্ষিয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্রকে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
নামের কারণে প্রবীর মিত্র হিন্দু না মুসলাম- এ নিয়ে নানান প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে অনেকের মনে। সে বিষয়ে খোলাসা করেছেন মিশা সওদাগর। তিনি জানিয়েছেন, প্রবীর মিত্র ভাই মুসলামনই ছিলেন। ধর্মমতে তার জানাজা হবে এবং দাফন হবে।
এক সাক্ষাৎকারে প্রবীর মিত্র নিজেও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। সেসময়ের ভিডিওতে প্রবীর মিত্রকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি তো কনভার্ট হয়েই ওর মাকে (স্ত্রী) বিয়ে করেছিলাম। তখন মুসলমান হয়েছিলাম। তখন প্রয়োজন হয়েছিল মুসলমান হওয়া, এখনও সে ধর্মেই আছি।’
সেই সাক্ষাৎকারে প্রবীর মিত্র জানিয়েছিলেন তার কষ্টের কথা। বলেছিলেন, অভিনয় করতে না পারলে আমার খুব কষ্ট হয়। আমি অভিনয় করতে পারছিনা, এটাই আমার বড় কষ্ট। অভিনয়টা আমাকে খুব টানে। অপেক্ষায় আছি, সুস্থ হয়ে আবার অভিনয়ে ফেরার।
ভিডিওতে সহকর্মীদের কথাও বলেছেছিলেন বর্ষিয়ান এই অভিনেতা। জানিয়েছিলেন, অনেকেই খোঁজখবর নেন। সবাই তার জন্য দোয়া করেন। তিনিও সবার জন্য দোয়া করেন বলেন, সবাই যেন ভালো থাকেন সবাই যেন সুস্থ থাকেন।
কথোপকথনের একপর্যায়ে ধর্ম নিয়ে জানতে চাইলে প্রবীর মিত্র জানান, বিয়ের সময় মুসলমান হিসেবে কনভার্ট হয়েই বিয়ে করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই মাঝে খবর ছড়ায় প্রবীর মিত্র মুসলমান হয়েছেন। তবে ধর্ম নিয়ে প্রবীর মিত্রের ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ম নিয়ে আমার কোনো বাড়াবাড়ি নাই। সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই। মানুষ সবার উপরে।
উল্লেখ্য, প্র্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজান্তা মিত্র মারা যান ২০০০ সালে। তার তিন ছেলে মিথুন মিত্র, সিফাত ইসলাম, সামিউল ইসলাম। এক মেয়ে ফেরদৌস পারভীন। এদের মাঝে সামিউল মারা গেছেন। প্রবীর মিত্রের জন্ম ১৯৪১ সালে। ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জলছবি’ সিনেমার মাধ্যমে সিনেমায় নাম লেখান। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়।