১৮ শতকের হাসপাতালগুলো মৃ’ত্যুর ঘর হিসেবে পরিচিত ছিল। কারণ এই সময়ে জী’বাণু সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না, এবং চিকিৎসকেরা অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে কাজ করতেন। তবে হাঙ্গেরিয়ান চিকিৎসক ইগনাজ সেমেলওইজ হাত ধোয়ার গুরুত্ব প্রথম চিহ্নিত করেন।
তিনি লক্ষ্য করেন, ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালের দুটি ক্লিনিকে প্র’সূতি মৃ’ত্যুহারের বিশাল পার্থক্য ছিল। এক ক্লিনিকে পুরুষ চিকিৎসকরা কাজ করতেন এবং অন্যটিতে মিডওয়াইফরা। সেমেলওইজ নিশ্চিত হন যে, চিকিৎসকরা মৃ’তদে’হের অ’ঙ্গে হাত দেয়ার পর পরিষ্কার না করেই প্রসব কক্ষে প্রবেশ করতেন, যার ফলে সংক্রমণ ঘটত। তিনি হাত ধোয়া এবং জী’বাণুমুক্ত পদ্ধতি গ্রহণের প্রস্তাব দেন, যা মৃ’ত্যুহার ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়।
তবে তার এই সুপারিশকে মেনে নেয়া হয়নি এবং তাকে উন্মাদ বলে আখ্যায়িত করা হয়। সেমেলওইজ নিজের দেশে ফিরে আসেন, কিন্তু তাকে মা’নসিক হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সেখানেই তার মৃ’ত্যু হয়।
আজ, সেমেলওইজের হাত ধোয়ার তত্ত্ব সারা বিশ্বে মহামূল্যবান চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে স্বীকৃত।
❤️❤️