দুঃখ হোক কাঁচা কিংবা পাকা-আসল কথা;
দুঃখিত হতে থাকা,
সেইসাথে দুঃখকে জাহির করা মানুষের মুখ্য কাজ এটা
জন্মলগ্ন থেকেই হয়তো তাই- কেঁদে ওঠা …
কেউ আমাকে কাছে টানুক-ভালোবাসুক
বন্ধ চোখে অন্ধ থেকেও ত্বকের টানে ত্বক খোঁজা –
সাধারণ ত্বক সহজে নাগালে পেয়ে গেলে ফের
অদৃশ্য কোনো পুণ্যে সুপার ত্বকের নৈকট্য চাই …
ধ্যানমগ্নতায় তপজপ রুদ্রাক্ষের মালা – ডলা
গেরুয়া ,লাল কালো সাদা বসনে নিজেকে ভরে নিয়ে
দুঃখকে আহ্বান করা চলে পথে প্রান্তরে মরুতে নদীতে
পাহাড়ে পর্বতে,মন্দিরে মঙকে,মসজিদে খানকায়
হাহা হুহু করে কেঁদে বেড়ায় …
কি খুঁজি ?!
দুঃখিত হয়ে-খেয়ে না খেয়ে দুঃখকেই খুঁজি
নেই দুঃখের সাথে আপোষকামীতার পুঁজি
বরাবর দুঃখকেই বেশি পছন্দ করি
দুঃখ আমাদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়
পিছুটান এমন আছে বলেই এমন বিচিত্র বাঁচাবাঁচি …
অন্তরে চিরকাল দুখের আসন থাকতে দাও
কেনো আমি মনমরা হয়ে মনের মধ্যে আছি
কেনো আলাদা আকৃতির স্ব প্রকৃতি যাচি ?
আমার মধ্যে থেকে কারো কাছে ডেকে জানাতে চাই
কেউ আমারই প্রেমের দুঃখিত অবস্থা বুঝুক …
এই আমরা সবাই খানিকটা সহানুভূতি পেতে
সমগ্র আমাদের জন্য আমরাই অন্তর দ্বন্দ্বে,
কোন্দলের কোনো না কোনো জাল বিছিয়ে যাই
কপালে ভস্ম মেখে,চোখে পানি ধরে রেখে –
মশাল প্রদীপ,মোম,ধূপ জ্বেলে কারো পাশে সাধু সেজে
বহুকাল ধরে বিভিন্ন দুঃখ দেখাতে সচেষ্ট হই
অপরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিই দুঃখকে সে চিনেছে কিনা ?
দুঃখিত থেকে-দুঃখিত রেখে,
পেতে চাই দুঃখ তৃপ্তির অবাক সান্ত্বনা…