বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
Homeঅন্যান্য১৯ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

১৯ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট

প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন স্থগিত করেছেন পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর পৌনে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। যদিও গতকাল রাত ১০টা থেকে অনশন স্থগিত করা পর্যন্ত উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, ট্রেজারার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ প্রশাসনের অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং অনশনকারিদের সঙ্গে কথা বলেন।

অনশন স্থগিত করার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতি বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে নৈতিকভাবে পোষ্য কোটা বাতিলের আশ্বাস দিয়েছেন। ৩টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সঙ্গে এ নিয়ে মিটিং করবেন। মিটিংয়ে যদি পুনরায় পোষ্য কোটা সংস্কার বা পুনর্বহাল রাখার কোনো পাঁয়তারা করা হয় এবং আমাদের সঙ্গে বেইমানি করা হয়, তাহলে আমি আবার অনশনে বসব। তখন কোনো আশ্বাস আমাকে আর আমার অবস্থান থেকে দূরে সরাতে পারবে না। যদি সেই অনশনে বসে আমার মৃত্যুও হয়, আমি পিছপা হবো না। আমার লাশের ওপর দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে পোষ্য কোটা বহাল রাখতে হবে।’

প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন স্থগিত করেছেন পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনরত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর পৌনে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান অনশনরত শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান।

যদিও গতকাল রাত ১০টা থেকে অনশন স্থগিত করা পর্যন্ত উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, ট্রেজারার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ প্রশাসনের অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং অনশনকারিদের সঙ্গে কথা বলেন, অনশন স্থগিত করার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী চিশতি বলেন,

‘প্রশাসন আমাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে নৈতিকভাবে পোষ্য কোটা বাতিলের আশ্বাস দিয়েছেন। ৩টায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সঙ্গে এ নিয়ে মিটিং করবেন। মিটিংয়ে যদি পুনরায় পোষ্য কোটা সংস্কার বা পুনর্বহাল রাখার কোনো পাঁয়তারা করা হয় এবং আমাদের সঙ্গে বেইমানি করা হয়, তাহলে আমি আবার অনশনে বসব।

তখন কোনো আশ্বাস আমাকে আর আমার অবস্থান থেকে দূরে সরাতে পারবে না। যদি সেই অনশনে বসে আমার মৃত্যুও হয়, আমি পিছপা হবো না। আমার লাশের ওপর দাঁড়িয়ে প্রশাসনকে পোষ্য কোটা বহাল রাখতে হবে।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের সঙ্গে নীতিগত জায়গায় একমত হয়েছে। আজ বিকেল ৩টায় সব পক্ষের সঙ্গে বসে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যৌক্তিক সমাধান করার। বিকেল তিনটার মিটিংয়ে আলোচনার ফলাফল দেখার শর্তে আমরা আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘আমরা নীতিগত জায়গায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত। আজ বিকেল তিনটার সভায় এই বিষয়ের সমাধান হবে। এতে শিক্ষার্থীরাও খুশি হবেন বলে আশা করছি।’

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ৮ জন শিক্ষার্থী আমৃত্যু অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এরপরে তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এই অনশন কর্মসূচির সঙ্গে যোগ দেন আরও ৬ শিক্ষার্থী।

 

- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here