বাংলাদেশের ধর্মীয় আলোচক মিজানুর রহমান আজহারীকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটকে দিয়েছেন। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে মালয়েশিয়া প্রবেশে বাঁধা দেয় পুলিশ।
মালয়েশিয়া যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফেসবুক পোস্টে মিজানুর রহমান আজহারী লেখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশির ভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সেদিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।
তিনি লেখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, পুরো দেশ জুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়তো কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।
মিজানুর রহমান আজহারী আরও লেখেন, আমি এ-জমিনে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে চাই পরিকল্পিতভাবে। তাই আগের মতো জেলায় জেলায় গণহারে তাফসির প্রোগ্রাম করতে চাচ্ছি না। আউটডোর প্রোগ্রাম সীমিত করে, কিছু ইনডোর প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে চাই। পাবলিক ইভেন্ট ছাড়াও একাডেমিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাজে যুক্ত হতে চাই। এসব স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। শিগগিরই এসব প্রকল্পের ঘোষণা আসবে ইনশাআল্লাহ। দোয়ায় রাখবেন।
লাখো ভক্তদের ছেড়ে হঠাৎ মিজানুর রহমান আজহারী পাড়ি জমিয়েছেন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে। সেখানে গিয়ে তিনি ইমিগ্রেশনে আটকে যান।
ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তার নামে অভিযোগ থাকায় তাকে কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন দেশটিতে ঢুকতে বাধা দেয়। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি।