সোমবার, জানুয়ারি ৬, ২০২৫
Homeঅন্যান্যদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও কঠিন বাস্তবতা: নুর এমডি চৌধুরী

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও কঠিন বাস্তবতা: নুর এমডি চৌধুরী

সম্পাদকীয়

মাননীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর জ্ঞাতার্থে বলছি, প্রয়োজনে সকল জনতা, ছাত্র সমাজ, সর্বস্তরের মানুষ, পেশাজীবি, রাজনীতিদের এক করুন। যেখানে যা প্রয়োজন ব্যবহার করে দেশের আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্য রক্ষা করুন।

বিডাল আচরণে লেকড়ে বাঘ স্বীকার করা অসম্ভব । ইস্পাত বাকাতে শক্তিশালী ইস্পাতেরই প্রয়োজন। পারেনতো ক্ষমতা দীর্ঘস্থানী করুন শক্ত হাতে নয়তো রাজনৈতিক ভাবে তাদের মোকাবিলা করার সুযোগ করে নিন।

৭১ এ মা’ তার সন্তান হারিয়ে চির দুঃখিনী থেকেছে দেশ একটিবারও তাকিয়ে দেখেনি। পিতা তার জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছে দেশের মমতায় তাদের পূনর্বাসনে এদেশ এগিয়ে আসেনি। মা তার সম্ভ্রম দিয়ে দেশকে বাচিঁয়েছেন পরবর্তী জীবনে ধিক্কার, লাঞ্চনা আর বঞ্চনার স্বীকার হয়েছেন। অনেক জননী বীরংগনা অপবাদে জীবনকে আত্মহুতি দিয়ে কলংক দূর করেছেন।

এটাই কি তাদের প্রাপ্তি ছিল! অপবাদের কালিমা লেপন করতেই কি ঝাপিয়ে পড়েছিলেন যুদ্ধে! কোনদিন এই প্রশ্ন জাগরিত হয়নি সুশীল সমাজের মনুষ্যত্বে। অর্ধশতাধিক বছর কেটে গেলেও দেশে এখনও অসংখ্য মুক্তিয়োদ্ধা আছেন যারা রিক্সা চালান আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা বসে বসে ভাতা তুলে খান।

দীর্ঘ বছর ধরে চুপ ছিল ছাত্র সমাজ, জনতা। কারণ দাদার মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস তারা জানে। তারা দেখেছে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী জীবনচিত্র। যারা টকশোতে কথা বলেন বড় গলায় ভাববেন না কেবল তারাই জ্ঞাণী। এ দেশের সাধারণ মানুষগুলোর কাছে যান তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন দেখবেন তাদের হৃদয় ভরা বস্তনিষ্ঠ ইতিহাসের কাহিনী। ইতিহাস জানেন তারা, ইতিহাস পড়েন তার, ইতিহাস গড়েনও তারা।

আর জানেন বলেই দেশজুড়ে এতো অনিয়ম, এতো স্বার্থপরতা, এতো এতো অপকর্মে দেশ কলংকে নিমজ্জিত তবুও এগিয়ে আসেননি সাধারণ জনতা, এগিয়ে আসেনি ছাত্র সমাজ। কারণ পরবর্তীতে তাদেরও সেই একাত্তরের রনাংগনের যোদ্ধাদের মত ধুকে ধুকে মরতে হবে। বঞ্চিত হতে হবে সকল প্রাপ্তি থেকে কারণ তখন সে যদি বেঁচে থাকে কোন না কোন অংগ হারিয়েই সে বেঁচে থাক্কবে।

হ্যা, ২৪ এর প্রেক্ষাপটে আপনি যদি তাকিয়ে দেখেন আজও কেন আহতদের সংখা জানা যাচ্ছেনা। আজও কেন শহীদদের সংখ্যা প্রকাশ হচ্ছেনা। কেন আজও চিকিৎসার অভাবে মারা পড়ছে অসংখ্য গুলিবিদ্ধ ছাত্র জনতা।

দেশের কি অর্থের বড় অভাব? কেন বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করা হলোনা তাদের। ৯০ এর অধিক দিন কেঁটে গেলেও তাদের বিষয়ে দৃষ্টান্যমুলক অগ্রগতি নেই কেন। একটা বুলেটের আঘাত আপনি বহন করে দেখুন তারপর দেশ চালানোর দায়িত্ব নিন বুঝবেন কত যত্রণা ঐ বুলেটেদ।

স্বাধিনতা পুনরুদ্ধারে আপন ভাই কিংবা বোনকে হারান বুঝবেন ভাই কিংবা বোনকে হারানোর যন্ত্রণা কত দাবদাহ কত নির্মম।

অতীতেও ৭১’ এ যারা ক্ষমতা নিয়েছিলেন তাদের পরিবারের কেউ যুদ্ধাহত ছিলেন না। আজও ২৪ এ দেখিছি তেমনই। জীবনের মায়া আপনি কি বুঝবেন। যাদের ডাকলেন, রনাংগনে জেগে উঠো তারা ঠিক জেগে উঠলো। অগ্নিদাবদাহের মত জ্বলে উঠে কত প্রাণ ঝরে গেল তাদের। এনে দিয়ে গেল আরেকটি নতুন স্বাধিনতা।

আপনি জানেন না স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। জানেন যদি সমরতো এখনও বিরাজমান সমরের রনক্ষেত্রেরচারপাশ ঘীরা শত্রুদের গোপন আস্তানা ঘীরে আপনি কি পরিকল্পনা এটেছেন? আপনি যদি নাই জানেন বিষাক্ত সাপ যদি কাটা লেজ নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিহিংসার বিষ দাত গুলো খারা করে রাখে কখন ছোবল দিবে আপনাকে।

মৃত্যুর পূর্ববধি সে আপনাকে আক্রমণ করেই যাবে। আপনিতো তাই করেছেন। বিষাক্ত কালনাগিনীর লাজ কেটেছেন মাত্র। নিশ্চয়ই আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে তার বিষ দাতের ছোবল দিতে সে উৎ পেতে আছে। তাই বলছি আপনাকে এগুতে হবে কঠোরতার সাথে দাম্ভিকতার সাথে। আপনার হাতকে করতে হবে বিশ্বস্থ ও শক্তিশালী এবং সাহসী।

অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস যদি বলি, ওরা মেরেও সফল হয়েছে মার খেয়েও সফল হয়েছে কারণ এটা ছিল ওদের মিশন, ভিশন। আপন ঘরে আগুন জেলে দিয়ে দোষটা গড়িয়েছে অন্যের ঘাড়ে। অমানুষকে মারত্র অমানবিক কায়দায়। একটা বিষধর সাপ কিন্তু নীতিবাক্য বুঝেনা।

আমরা জানি অর্থ অনর্থের মুল। আজ ওদের অর্থের কোন অভাব নেই তার মানে বুঝতেই পারছেন ওদের অবৈধ অর্থে ওরা যেকোন বড় বড় দেশের অস্তিত্ব বিনাশের কাজ বেছে নিতে পারে। আর মানুষতো টাকার পাগল।

- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here