অল্প কিছু লোক আছে, যাদেরকে বলা হয় আল মালা’, আল্লাহ তা’আলা কুরআনে তাদের ব্যাপারে অনেক বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমরাও আল-মালা’ নিয়ে কথা বলেছি, আল-মালা’ হচ্ছে তারা, যারা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর বাণীকে অস্বীকার করেছে, আল মালা’ হল তারা, যারা হুদ (আলাইহিস সালাম) এর আনীত বাণীকে অস্বীকার করেছে, সালেহ (আলাইহিস সালাম) কেও অস্বীকার করেছে আল-মালা’।
আল মালা হচ্ছে গোত্র প্রধান এবং নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ। আর বাকীদের এসব নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই, তারা দুনিয়ার পিছনে দৌড়োয়, দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে, কিন্তু তাই বলে তারা আল্লাহর আযাব থেকে নিরাপদ নয়। আপনাকে একটা পক্ষ নিতেই হবে, একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে যে আপনি হয় আল্লাহর দলে থাকবেন, নয়তো শয়তানের দলে থাকবেন, এর মাঝামাঝি কিছু নেই, নিরপেক্ষ হয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
সামুদ জাতির নয়জন মানুষ অসৎ পরিকল্পনা এঁটেছিল, কিন্তু সমাজের অন্যেরা যখন তাতে বাঁধা দিলনা, তখন তারাসহ সবাই শাস্তির আওতার মধ্যে পড়ে গেল। এখানে আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা আছে এবং তা হল সত্য এবং বাতিলের মধ্যে চিরায়ত সংঘাতটি এখনও চলমান। এই সংঘাত হল ইসলাম ও কুফরের মধ্যে। যারা ইসলামকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা সংখ্যায় অল্প, আর যারা কুফরকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারাও খুব অল্প সংখ্যক আর বাকী সাধারণ জনগণের অবস্থা হল সামুদ জাতির মত, যারা সক্রিয়ভাবে কিছুই করে না।
তাই আমাদেরকে বেছে নিতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আমরা কাদের সাথে যাব? যারা ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের সাথে নাকি তাদের সাথে, যারা বাতিলের প্রতিনিধিত্ব করছেন? আমি আবার বলছি, এখানে “মধ্যমপন্থা” বা “নিরপেক্ষ অবস্থান” বলতে কিছু নেই।
হক এবং বাতিল এর মধ্যে নিরপেক্ষতার কোন অস্তিত্ব নেই। নিরপেক্ষতা ইহাই প্রমান করে যে তারা বাতিলের পক্ষে। তাই যুগে যুগে মহান রাব্বুল আলামিন সত্য কিংবা হকের পক্ষে থাকা জনপদ গুলোকেও ধংস করে দিয়েছেন কারণ তারা হক বা সত্যের পক্ষে থাকলেও নিজেদেরকে বাতিলের সাথে লড়াই করার ইচ্ছে করতোনা। নিজেদেরকে ঝামেলায় পড়া থেকে দূরে রাখা, আরাম আয়েসে দিনাতিপাত করা, নির্ভেজাল জীবন যাপনকারী মানুষ কিংবা জনপদগুলোকেও মহান আল্লাহ তালা বাতিলের অন্তর্ভুক্ত করে ধংস করে দিয়েছেন।
আজ পৃথিবীজুড়ে তাকিয়ে দেখলে দেখবেন হকের দাবীতে মশগুল দুনিয়ার অধিকাংশ জনপদ কিন্তু বাতিলের বিপক্ষে লড়াই করেনা। আর ইহাই আমাদের ক্ষতির কারণ। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝবার শক্তি দান করুন।