শ্রদ্ধা-ভালোবাসা, মমত্ববোধ, সহানুভূতিশীল হওয়া—এসব বাবাকে দেখে শেখা। কিন্তু মানুষের প্রতি মানুষের অমানবিক নিষ্ঠুরতাও আমি দেখেছি।
মাত্র তেরো বছর বয়সে একদিন বাসার সামনেই বাবাকে গুলি করা হয়। সেই মুহূর্ত থেকেই আমাদের জীবন বদলে যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর বাসার ও বাইরের সব দায়িত্ব পরে মায়ের ওপর । সবার মাঝে আমি হয়ে যাই একা। আমি না বুঝলেও অন্যরা বোঝে আমার আচার-আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মা আর দেরি করেননি, আমাকে মনোবিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যান। থেরাপি আর কাউন্সেলিং সেশনের মাধ্যমে আমি ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলাম। এটা আমার জীবনের একটি কঠিন অধ্যায়।
খুলনা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় ব্র্যাকের মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হই। ট্রেনিং শেষে টিমের অন্যদের সঙ্গে ‘মনের স্কুল’ খুলি। এটি একটি প্ল্যাটফর্ম যা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায় এবং মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাসমূহ পেতে সাহায্য করে। মনের স্কুল ১২ হাজারেরও বেশি মানুষকে সাহায্য করেছে। ২০২১ সালে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে গোলকিপার্স গ্লোবাল গোল চেঞ্জমেকার অ্যাওয়ার্ড পাই।
আমি কঠিন সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে শিখেছি। এখন অন্যদের সাহায্য করার পালা।
- ফাইরুজ বিথার