রাজা হুংকার দিলেন – দুধে পানি কেন?
প্রধানমন্ত্রী জবাব দিলেন হুজুর একজন পরিদর্শক নিয়োগ করা দরকার।
* পরিদর্শক নিয়োগ করা হলো।
পরিদর্শক দুধওয়ালাকে তার বাসায় প্রতিদিন ২০ কেজি দুধ দেওয়ার জন্য বলল।
* দুধে পানির পরিমাণ বেড়ে গেল, রাজার আবার হুংকার – পানির পরিমাণ আবার কেন বেরে গেল?
* হুজুর গোয়ালার গরুর ফার্ম অনেক দূরে, একজন পরিদর্শক যথেষ্ট নয়। আরেকজন পরিদর্শক নিয়োগ করা হলো।
নতুন পরিদর্শক তার বাসায় 20 কেজি দুধ দিতে বলল, দুধে পানির পরিমাণ আরো বেড়ে গেল।
আবার রাজার হুংকার – প্রধানমন্ত্রী পানির পরিমাণ তো বেড়েই যাচ্ছে?
হুজুর রাস্তার দূরত্ব এত বেশি দুজন পরিদর্শক সামলাতে পারছে না।
তৃতীয় পরিদর্শক নিয়োগ করা হলো, তিনিও তার বাসায় 20 কেজি দুধ দিতে বলল।
এবার দুধের মধ্যে পানির সাথে চিংড়ি মাছের বাচ্চা পাওয়া গেল।
রাজা ত রেগে ব্যাগ্র মূর্তি ধারণ করল,
প্রধানমন্ত্রী! গোয়ালাকে ডাকো। আমি নিজে তার বিচার করব।
প্রধানমন্ত্রী গোয়ালা কে প্রশ্ন করল
দুধের মধ্যে পানি এবং চিংড়ি কেন? গোয়ালা উত্তর দিল! হুজুর জাহাঁপনা, আমি কোনদিনই দুধে পানি দিতাম না।
কিন্তু তিনজন পরিদর্শক নিয়োগ করার পরে প্রত্যেকের বাসায় প্রতিদিন ২০ কেজি দুধ দিতে হয়, তাই আমাকে ৬০ কেজি পানি মিশ্রিত করতে হয়, দুধের পরিমাণ ঠিক রাখার জন্য।
শেষ পর্যায়ে পানীর অভাব ঘটায় আমি চৌবাচ্চা থেকে চিংড়ি যুক্ত পানি মিশ্রিত করতে বাধ্য হই।
রাজা মশাই প্রধানমন্ত্রী ও তিনজন পরিদর্শকের গর্দান্ নেওয়ার হুকুম দিলেন।
জল্লাদ তৎক্ষণাৎ রাজার হুকুম তামিল করলেন।
আমাদের বাংলাদেশে একজন এ ধরনের রাজা দরকার।
কি বলেন আপনারা সবাই?