এখন আমার নিজের একটি ক্লিনিক আছে। একসময় যারা আমার বাবাকে বলতেন, ‘মেয়েকে এত পড়িয়ে কী হবে?’, আজ তারাই আমার কাছে চিকিৎসার জন্য আসেন।
মা জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর আমি বুঝতে পারি, গ্রামের মায়েদের জন্য আরও ভালো চিকিৎসাব্যবস্থা দরকার। তখন থেকেই আমার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া।
বাবার জন্য আমার পড়ালেখার খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তখন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির কথা জানতে পেরে সেখানে ভর্তি হই। পরবর্তীতে চীনে ডাক্তারি পড়ার জন্য বৃত্তি পাই।
চীন ছিল আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি জায়গা। কিন্তু দ্রুতই আমি সেখানের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিই। অনেকগুলো নির্ঘুম রাত পেরিয়ে অবশেষে মেডিকেল ডিগ্রি অর্জন করি।
মেধাতালিকায় প্রথম হয়ে দেশে ফিরে একটি ক্লিনিকে যোগ দিই। সেখানে নারী গাইনি চিকিৎসক কম থাকায় দিন দিন আমার রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে আমি আর আমার স্বামী দুজনের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটি ক্লিনিক শুরু করি।
আমি নারীদের জন্য আরও অনেক কিছু করতে চাই। সেজন্য উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার কথা ভাবছি। আমি আশা করি, আমার এই যাত্রা বাংলাদেশের অন্য নারীদেরও অনুপ্রেরণা জোগাবে।