শফিকুর রহমান হলেন বাংলাদেশী একজন রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমীর। ডা. শফিকুর রহমান ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিলেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৬ নভেম্বর দুপুরে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তাতে তিনি গভীর শোক জানিয়ে আপন ফেইজবুক পেইজে ৪ ঘন্টা আগে একটি পোস্টে লিখেন,
“গভীর ব্যাথা নিয়ে সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি, ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন- আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৬ নভেম্বর দুপুরে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা অত্যন্ত জঘন্য এবং নিন্দনীয় অপরাধ। একটি গোষ্ঠী পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থির করার জন্য ক্রমাগতভাবে দুরভিসন্ধি ও অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থির করে তুলতে চায়। দেশপ্রেমিক জনগণ তাদের দুরভিসন্ধির ব্যাপারে পরিপূর্ণ সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ। তাদের অপচেষ্টা অতীতে যেমন ব্যর্থ হয়েছে, আগামীতেও ব্যর্থ হবে ইনশাআল্লাহ।
আমার প্রিয় দলীয় সহকর্মী চট্টগ্রাম জজ আদালতের এপিপি তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। মহান রবের দরবারে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন এবং শাহাদাতের সুউচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমি তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার, আপনজন, প্রিয়জন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।
দেশের জন্য তার আত্মত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার দলীয় সহকর্মী, ছাত্র-জনতা এবং দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি যে কোনো উস্কানিতে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধরার জন্য আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি। কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
এই নির্মম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
উক্ত পোস্টে Gulam Azom আইডি থেকে মন্তব্য করেন, “ভাই সাইফুলের হত্যার বিচার চাই। জড়িত সবাইকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কোনো সংগঠন এর সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদেরও অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অব্যাহত রাখার জন্য সরকারকে অনতিবিলম্বে কার্যকর অবদান রাখতে হবে। না হলে উত্তেজিত জনতার যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ও তাদের কাঁধেই বর্তাবে।”
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দিন আইডি থেকে মন্তব্য করে বলেন, “গোয়েন্দা সংস্থা গুলো ভালো করে তদন্ত করা উচিত। ভার/তীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাই সচেতন হতে হবে। এই দেশে কোন র ” ভার/তীয় এজেন্ট বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না। এ সকল ব্যক্তির যারা রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় রাষ্ট্রে আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে ব্যস্ত একদল স্বার্থান্বেষী। আইনের উর্ধ্বে কেউ নন। অভিযুক্ত হলে যে কেউ গ্ৰেফতার হতে পারে।”