ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বক্তব্য পছন্দ করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। এই বার্তা পৌঁছে দিতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রিকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এ তথ্য জানান। এর আগে বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ভারত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন আরও বলেন, নিরাপত্তা বিষয়ে আমরা সাধারণভাবে আলাপ আলোচনা করেছি। কিন্তু নির্দিষ্টভাবে সেভেন সিস্টার নিয়ে কোনো আলাপ আলোচনা হয়নি। সীমান্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে জনাব জসীম বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বোঝাপড়ায় কিছুটা ঘাটতি আছে। উনারা আমাদের এখানে আসার পরে সেটি কমবে বলে প্রত্যাশা করছি।
ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলার ঘটনা নিয়ে ভারতের বক্তব্য কী ছিল জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন বলেন, তারা বলেছেন, তারা মিশনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে জনাব জসীম বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতি আছে। এটি আমরা স্বীকার না করলে সমাধানের দিকে যেতে পারব না। বিশ্বাসের একটি ঘাটতি ছিল বলে আমাদের এই প্রক্রিয়াটা অতিক্রম করতে হয়েছে। আজকের (গতকাল) বৈঠক ঘাটতি দূর করে এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে যে ৫৪টি নদী ভাগাভাগি করি, এই নদীগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে তিস্তা, গঙ্গা নদীর চুক্তি নবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেদিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে এফওসি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকার হয়ে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন। দিল্লির পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন বিক্রম মিশ্রি। দুই সচিবের মধ্যে একান্ত আলাপসহ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে বৈঠক।