রবীন্দ্র সংগীতের এক কিংবদন্তী শিল্পী পাপিয়া সারওয়ার। এটা তার জাতীয় পরিচয় কিন্তু আমি তাকে তার ব্যক্তিয় জীবন ও পারিবারিক জীবনের সূত্রে চিনি ১৯৮৫/৮৬ সাল থেকে।
আমরা তখন মীরপুর পল্লবীতে বসবাস করি ।আর একই পাড়ায় পল্লবীতে থাকতেন পাপিয়া সারওয়ারের আপন বড় বোন প্রয়াত বীর মুক্তি যোদ্ধা জনাব আহম্মেদ রেজার সহধর্মিণী
শ্রদ্ধেয় আহম্মেদ রেজা ভাই যিনি বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। অবসর জীবনে পল্লবী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ছিলেন আর আমি ছিলাম সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া পল্লবীতে আমরা ছিলাম নিকটতম প্রতিবেশী।
সেই সুত্রে সমিতির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে মাঝে মাধ্যেই আমাকে উনার বাসায় যেতে হতো। তখন পাপিয়া সারওয়ারের সাথে দেখা হতো কথা হতো উনাদের বাসায়।
পাপিয়া সারওয়ার কোলকাতায় বিশ্ব ভারতী থেকে সংগীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করছিলেন। তিনি ২১শে পদকপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। শিল্পকলা একাডেমীর পুরস্কারপ্রাপ্ত এবং একজন উচু মানের সংগীত শিল্পী ছিলেন তিনি।
আমি তার একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে যখনই তার সাথে দেখা হতো কথা হতো ভীষণভাবে আপ্লুত হতাম।
তাছাড়া রিনি রেজা, সম্পা রেজা এরা তার আপন বড় বোন। মিসেস আহম্মেদ রেজার বড় বোনের মেয়ে। তার আপন ভাগিনী। এই মহান শিল্পীর মৃত্যু সংবাদে আমি গভীর ভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।
তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে জাতি একটি মূল্যবান সম্পদ হারালো আর আমরা সাধারণ সংগীত প্রেমী মানুষগুলো হারালাম একজন সুমধুর কন্ঠশিল্পী যার নাম পাপিয়া সারওয়ার।
মহান আল্লাহতালার নিকট কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি তিনি যেনো তার সকল গুনাহর খাতা ক্ষমা করে দিয়ে পরপারে তাকে জান্নাতবাসী করেন। আমীন