দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা বিশ্ব পূর্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এসেছে। যা অনেকের কাছে নতুন শীতল যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। তবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্র নিজের মিত্রদের ছেড়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রিয়াদে মার্কিন ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ট্রাম্প ইউক্রেনকে দোষারোপ করে বলেছেন, তারা যদি আগে থেকেই কিছু ভূমি সমর্পণ করত, তবে যুদ্ধ এড়ানো যেত। তিনি ইউক্রেনীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেছেন, তোমরা এটি শুরু করতে না; তোমরা একটি চুক্তি করতে পারতে।
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো এস্টেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেছেন, তোমাদের এমন একটি নেতৃত্ব আছে যারা এমন একটি যুদ্ধ চলতে দিয়েছে যা কখনোই হওয়া উচিত ছিল না।
অন্যদিকে, পুতিন বা রাশিয়ার কোনও সমালোচনা করেননি তিনি।
ট্রাম্পের এই অবস্থান মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ধারায় একটি বড় পরিবর্তন তুলে ধরছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে রাশিয়াকে সতর্কতার সঙ্গে দেখেছেন। কিন্তু ট্রাম্প রাশিয়াকে ভবিষ্যৎ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করেন, ইউরোপের প্রতিরক্ষা খরচ খুব বেশি এবং মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা করে চীনকে প্রধান হুমকি হিসেবে মোকাবিলা করা উচিত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত মাসে চীনকে ‘সবচেয়ে বড় হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তবে, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতারা উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্পের এই নীতি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এবং রাশিয়াকে আরও আগ্রাসী করে তুলতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আমরা একটি সার্বভৌম দেশ। আমাদের অনুপস্থিতিতে কোনও চুক্তি আমাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য হবে না।