সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৫ জন। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রাম ও সাদিপুর গ্রামের মধ্য এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে দুপুর ২টায় জগদীশপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ ও মোহাম্মদগঞ্জ বাজার মসজিদে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হন দুই গ্রামের বাসিন্দারা। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সাদিপুর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে প্রাইভেটকার ড্রাইভার লিকছন ও জগদীশপুর গ্রামের মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে মিসুক ড্রাইভার বুতু মিয়ার মধ্যে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার দুপুরে জগদীশপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদ, মোহাম্মদগঞ্জ বাজার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী দেশীয় অস্ত্রসহ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জগদীশপুর ও সাদিপুর গ্রামের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৬ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ৬ জনকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। গুলিবিদ্ধরা হলেন রুমান আহমেদ (২২), সোহাগ মিয়া (১৪), গফ্ফার হোসেন (২৫), ইমন মিয়া (২২), দুদু হোসেন (৪০) ও মাফুজ আহমেদ (২৫)। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, গুলিবিদ্ধসহ ৬ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জগন্নাথপুর থানার ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ চৌধুরী জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।