নানা আয়োজনে একাত্তরের স্মৃতিময় দিনগুলি স্মরণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হলো গতকাল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ বিমানবাহিনী দিনটিকে ‘বিমানবাহিনী দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে।
মুক্তি যুদ্ধে অংশ নেওয়া দেশের আপামর জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের যে সকল বৈমানিক পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পক্ষকে ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।তৎকালীন সময়ে যাদের বীরত্বের স্মৃতি চিরি অম্লান এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল করিম খন্দকার (অব.) মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করেন। সম্মুখ যুদ্ধের পাশাপাশি তারা সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্বও পালন করেন। এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) সুলতান মাহমুদ বীরউত্তম কিলো ফ্লাইটের অধিনায়কের দায়িত্বও পালন করেন
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনগুলোতে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বতন্ত্র বিমানবাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। সে লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর একটি অটার বিমান, একটি ড্যাকোটা বিমান ও একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার এবং বাঙালি বৈমানিক, কারিগরি পেশার বিমানসেনা ও বেসামরিক বৈমানিকসহ ৫৭ জন সদস্য নিয়ে ভারতের নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ‘কিলো ফ্লাইট’ নামে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে ৫০টিরও অধিক অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ‘কিলো ফ্লাইট’ বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করছে। ক্রমবর্ধমান দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালনের জন্য বিমান বাহিনীকে দক্ষিণ বিমান কমান্ড ও উত্তর বিমান কমান্ড নামক দুইটি কমান্ডে ভাগ করা হচ্ছে।
৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিমানবাহিনীর সব ঘাঁটি, ইউনিট ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত কন্টিনজেন্টগুলোতে দোয়া ও মোনাজাত করেন এবং বিভিন্ন মেসে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়।