সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) জানা গেছে ফুসফুস জনিত রোগে গুরুতর অসুস্থ হলে রাজধানীর উত্তরায় নিজ হাতে গড়া মেডিকেল কলেজ উইমেন অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী বলেন, বাবার আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজ ছিল।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ শোক প্রকাশ করেন।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট অপর্ণা রহমান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মারুফ বিন হাবিব ও শায়লা চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে সাবেক রাষ্ট্রপতির চিকিৎসা চলছিল।
১৯৭৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সেসময় তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন এবং কি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী জিয়াউর রহমান সরকারের সময় তিনি মন্ত্রী পরিষদের উপ-প্রধানমন্ত্রী পদেও নিয়োজিত ছিলেন।
২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি।
রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সেই দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন। নিজ হাতে গড়া উত্তরা ঊইমেন মেডিকেল কলেজ হসপিটালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।