বুধবার, জানুয়ারি ৮, ২০২৫
Homeঅন্যান্যবৃদ্ধাশ্রমের জননী

বৃদ্ধাশ্রমের জননী

নুর এমডি চৌধুরী কবি ও সাহিত্যিক সম্পাদক:বার্তা বাংলাদেশ ২৪ ডটকম

ছেলে আরমান মা”কে চিঠি লিখেছে, মাগো, আজ আমি আমার সমস্ত ভুল বুঝতে পেরেছি। তোমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার পর থেকেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংসার জীবন সবকিছুই যেন এলোমেলো। কিইযে অপরিসীম ক্ষতি আমার হয়ে গেছে মা তার আর কি বলবো তোমায়। মাগো তোমার আশীর্বাদ তোমার দোয়া আমার জীবনের সকল প্রতিষ্ঠার একমাত্র হাতিয়ার ছিল যখন তুমি কাছে ছিলা। যখনি তোমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এলাম তখন থেকেই আমার জীবনে অভিশাপ নেমে এলো। এই অভিশপ্ত যন্ত্রণা নিয়ে আমি বছরের পর বছর কাটিয়েছি মুক্ত হতে পারিনি। হৃদয়টা প্রতিনিয়ত ভেংগে খানখান হয়েছে ফিরে আসতে পারিনি।

জানো মা, মাগো আজনা আমি মুক্ত পাখির মত স্বাধীন। আজ আর আমাকে কেউ প্ররোচিত করবেনা কেউ বলবেনা তোমার মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসো নইলে আমার সংসার ভাঙ্গবে। একমাত্র ছেলেকে গলা টিপে মারবে! জানো মা, এতো সব চাপে আমি যেন একসময় নিরুপায় হয়ে যাই যেন হয়ে উঠি নির্বোধও। আমি কেবলি আমার স্ত্রী সন্তান ওদের সুখের কথাই ভাবতে থাকি। ভাবিনি ভেবে দেখিনিও যে তুমিই আমার সুখ তুমিই আমার শান্তির একমাত্র হাতিয়ার। মাগো, বিশ্বাস করো তোমাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার ইচ্ছে আমার কোনকালেও ছিলোনা কিন্তু তোমার বৌমা আমাকে এতোটাই প্রভাবিত করেছিল যে আমি নিতান্তই নিরোপায় হয়ে এই জঘন্য অপরাধটা করেছি মা। তুমি আমার পৃথিবীর সেরা সুখ, তুমি যে স্বর্গ। আমি তোমার একমাত্র সন্তান। আমি ছাড়া তোমার আপন বলিতে এধরায় কেউ নেই জেনেও তোমার কথা সেদিন ভাবিনি মা। তোমার সাথে চরম অন্যায় আমি করেছি। মাগো, আমায় কি তুমি ক্ষমা করবেনা

চিঠিটা পড়া শেষ করতে পারেনি মা’রেবেকা। ছেলের এহেন চিঠি এতোটা বছর পর মা’রেবেকা যেন আকাশ থেকে পড়ে। আমার আদরের আরমান সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আমার মানিক খোকা বাবা আরমান আয় আমার কোলে আয়। সেই কতটা বছর তোর মুখে মা ডাক শুনিনারে! হৃদয়টা আজ আমার বড়ই ক্লান্ত খোকা আমার মানিক আমার এতোটা বছর পর মায়ের কথা মনে পড়লো তোর? তোর বাবার মৃত্যুর কালে আমার হাত দু’টি ধরে বলেছিলো রেবেকা, আমার অনেক আশা ছিলো আরমানকে ডাক্তার বানাবো। কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস দ্যাখো, আমার স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে গেলো। আমার আশা পূরণ হলোনা! আমি অশ্রুসিক্ত নয়নে সেদিন তোর বাবার হাতটি ধরে বলেছিলাম-

ওগো স্বামী, তোমার অপূর্ণ বাসনা আমি জীবন দিয়ে হলেও পূর্ণ করবো। সেই থেকে জীবন যুদ্ধে আমি সংগ্রামী নারী হয়ে উঠি। সুদীর্ঘকাল জীবনে কত ঘাত প্রতিঘাত, কত জয় পরাজয়ের মাঝে অদম্য পথচলি। জীবন যুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে তোর বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গিয়ে হারিয়ে ফেলি সব। কিন্তু সব কিছুর মুলে তোকে মানুষ করতে পেরেছিলাম এছিলো আমার আমার বড় জয়। তোর বাবাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পেরেছিলাম এছিল আমার আত্মার বড় তৃপ্তি। যদিও নিয়তির কাছে হেরে গেছি বারবার। হয়তো সেদিন নিয়তি দেখেছিল আমার যুদ্ধাহত জীবনের পরিসমাপ্তিটা হবে বড়ই নির্মম বড়ই নির্লজ্জের বড়ই কষ্টের।

জানালার শিক ধরে-হুইল চেয়ারে বসে মা রেবেকা অঝোরে চোখের জ্বল ফেলে। ভাবে জীবনের অতীত, অতীতের লোমহর্ষক স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলির কথা। যেন ফ্লিমের ক্যানভাসে জীবন্ত হয়ে ধরা দেয়। কি নির্মম দিনগুলি কেটেছে কি অমানসিক কষ্টকে বোকে চাপাদিয়ে থেকেছে রেবেকা তবু চেয়েছে ছেলে তার ডাক্তার হোক তবে মৃত স্বামীর আত্মাটায় শান্তি পাবে। অশ্রুসিক্ত রেবেকা ভাবে আজও যে তার পরিসমাপ্তি হলোনা। তবে কি তার জীবনের নেওয়া স্বীদ্ধান্তগুলি এতোটাই ভুল ছিল যার প্রায়শ্চিত্ত জীবন দিয়ে শোধরাতে হয়। নাকি এ মোর অদৃষ্টের লিখন।

ভাবতে ভাবতে রেবেকা অনুভব করে তার কোমরের ডান পাশটাতে তীব্র ব্যথা। উহঃ করে উঠে! হাতটা দিয়ে কোমরটা চেপে ধরে। একদিকে হৃদয়ের তুষানলের দাহ দাউদাউ করে জলছে আরেকদিকে সমস্ত শরীর জুড়ে রোগে বাসা বেঁধেছে প্রতিনিয়ত অমানষিক যন্ত্রণা। ডাক্তার যতটা জানেন তার শারীরিক দূরবস্থা এবং সংকটময় রেবেকা ততটা জানেনা। জানার কথাও নয়। যে মরন যন্ত্রনায় এমনিতেই মর্মাহত তার উপর যদি জানে রেবেকা সে আর বেশি দিন বাঁচবেনা তাহলে যে কষ্টটা সহ্য করা তার দায় হয়ে পড়বে।

অনেক বছর অতিক্রান্ত হলো রেবেকার দুইটি কিডনীই ডেমেজের পথে। ডায়বেটিস এর রোগী।বাম চোখটিতে পাথর পড়ানো সে অনেক বছর আগের কথা। স্মৃতিগুলো যেন রেবেকার চোখে জীবন্ত হয়ে উঠে। একটা চোখ তার বিক্রি করেছে অনেক বছর আগে। আরেকটা চোখ সেও প্রতিনিয়ত অশ্রু ঝরাতে ঝরাতে এখন প্রায় অন্ধ হওয়ার পথে।

রেবেকা কাঁদে। চোখে হাত বুলিয়ে অঝোর ধারায় কাঁদে। এই চোখ বিক্রি করেই আরমানকে একদিন ডাক্তার বানিয়েছে রেবেকা। আরমান সে তা জানে। সকল কথাই যেন রেবেকার মনঃকোঠায় নাড়া দিয়ে বসে। আরমান তখন সবে মাত্র ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে। সব কিছুই সে বুঝে। অনুভব করে মায়ের সারাটা জীবনের ত্যাগের কথা। মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম আর দোয়ায় আরমানের একসময় মেডিক্যাল কলেজে চান্স হয়। মায়ের অমানসিক কষ্ট আরমানকে সেদিন ভীষণ ভাবে নাড়া দিয়েছিল। মাকে বলেছিলো মাগো, আমার মেডিক্যালে পড়াটা থাক। এতো টাকা তুমি কোথায় পাবে। আমি না হয় কোন রকম একটা সরকারি কলেজ থেকে ডিগ্রী নিয়ে চাকুরী ধরি। তুমি আর এভাবে নিজেকে শেষ করে দিওনা মা।

কথাটা একদিকে মায়ের মন:তৃপ্ত হলেও অন্যদিকে যেন বিষের চুরির মত আঘাত করে। স্বামীকে যে কথা দিয়েছে রেবেকা ছেলেকে তার ডাক্তার বানাবে। রেবেকার ভীষণভাবে মন খারাপ হয়। আরমান তা বুঝতে পারে। মা’কে বলে, আচ্ছা মা তোমার অবাধ্য আমি হবোনা। মা রেবেকা ততক্ষণ যেন দেহে প্রাণ ফিরে পায়। সকল কষ্ট যেন রেবেকার হৃদয় থেকে মোমের মত গলতে থাকে। রেবেকা যেন শত কষ্টের মাঝেও একটু সুখের মৃদু হাসি হাসে।

এতো টাকা! সত্যিইতো অনেক টাকা! কিভাবে জোগাড় করবে রেবেকা। মনে মনে ভীষণ হিমশিম খেতে থাকে। ছেলে আরমানকে তা বুঝতে দেয়না। রেবেকার দুঃসম্পর্কের এক ফুফাতো ভাই প্রাইমারী স্কুলে একই সাথে পড়েছে। নাম তার জিয়াউর। ঢাকায় থাকে। খবর নিয়ে জেনেছে জিয়া ছুটিতে বাড়ী এসেছে। পরদিন ভোর বেলায় রেবেকা একাকী জিয়ার কাছে যায়। জিয়াকে সব কিছু খুলে বলে। জিয়াও স্বল্প বেতনভুক্ত গার্মেন্টস কর্মচারী। বেতন যাহা পায় তা দিয়ে নিনের পরিবার চালাতেই হিমশিম খায় তাই সে বলে, দ্যাখো রেবেকা আমি নিজে থেকে কোন উপকার হয়তো তোমাকে করতে পারবেনা তবে তোমাকে একটা পরামর্শ দেই তুমি শহরে চলে যাও। শহরে গিয়ে গার্মেন্টসে চাকুরী করো তবে বেশ টাকা মিলবে। তাতে করে নিজের চলাটাও সহজ হবে ছেলেটারও পড়ালেখার খরচ যোগাতে পারবে।

মনে মনে রেবেকা গার্মেন্টসে চাকুরী নেওয়ার চিন্তাটা মাথায় রাখে। সে অনেক ইতিহাস। অনেক ইতিকথা। নদী ভাঙনের মত শতবার রেবেকার হৃদয় ভেঙেছে। তবু সে এতটুকু থেমে থাকেনি। কত ঝড় হিমালয়ের মত মাথার উপর দন্ডায়মান হয়েছে রেবেকা মোকাবেলা করেছে। মহান প্রভু তার সহায় থেকেছে। ছেলের পড়ার টাকা যোগাতে রেবেকার বাপের বাডিতে কিছু সম্পদ ছিল তা বিক্রি করেছে। স্বামীর দেওয়া কিছু অলংকার ছিল তা বিক্রি করেছে। পরিশেষে ছেলের যখন ফাইনাল ইয়ারে তখন অনেক টাকা চাই।

রেবেকা দিশেহারা হয়ে পড়ে। খবর পায় আরশাদ চৌধুরী সাহেবের স্ত্রীর দুটি চোখই নষ্ট হয়ে গেছে তার জন্য চোখের প্রয়োজন। যত টাকাই লাগোক চৌধুরী সাহেব দিবেন। খবরটা রেবেকার কানে পৌঁছা মাত্রই ছোটে যায় চৌধুরী সাহেবের কাছে। সব কথা খুলে বলে রেবেকা। অবশেষে চৌধুরী সাহেব অনেক টাকার বিনিময়ে রেবেকার কাছ থেকে একটি চোখ কিনে নেয়। আজ রেবেকার সেই চোখ চির দিনের জন্য মুক হয়ে গেছে। সাক্ষ্য হয়ে আছে শুধু অতীতের হাজারও স্মৃতি আর স্মৃতিময় যন্ত্রণাগুলো। মনে মনে ভেবে রেখেছিলো রেবেকা ছেলে তার ডাক্তার হলে কত চোখ চাই পাওয়া যাবে। সেদিন এক চোখেও অনেক স্বপ্ন দেখেছে রেবেকা। আর আজ অন্তিমকালে স্বপ্নরা যেন বডই কষ্ট দিয়ে যায়।

কি চেয়েছিলো রেবেকা আর কি পেলো এ জীবনে। শুধু রেবেকা নয় এই বিশ্ব নাট্যশালায় লাখো লাখো রেবেকার জীবনের পরিণতি এমনি করুণ যা দেখলে হৃদয় ভেংগে যায়। রেবেকা নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে। দীর্ঘদিন যন্ত্রণার সাথে যুদ্ধ করে করে নিজেকে কিছুটা হলেও শক্ত করতে শিখেছে।

কিন্তু আজ কি হলো যে, দু’চোখের পাতায় অশ্রু যেন বৃষ্টির মত ঝর ঝর করে ঝরেই যাচ্ছে। অশ্রুসিক্ত নয়নেই-ছেলের অসমাপ্ত চিঠি পড়ার জন্য ফের নিজেকে তৈরী করে বসে। অনেক আগ্রহ ভরে চিঠিটার ভাজ ফের খোলে। অশ্রুভেজা চশমাটা শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে নেয়। দু’হাতে চিঠিটা মেলে ধরে। চোখ বুলায় চিঠিতে ছেলের অসমাপ্ত লেখা! মাগো, আমি এক হতভাগ্য সন্তান। প্রায়শ্চিত্তের পথ আমাকে দিব্বি ডাকছে মা। এ জীবনে তোমার নিঃস্বার্থ অবদানকে অস্বীকার করার নির্মিতে আমি যে পাপ করেছি তার প্রায়শ্চিত্ত আমার শুরু হয়ে গেছে।

তোমার একমাত্র আদরের নাতি সে অনেক বড় হয়েছিলো। মাঝে মধ্যেই তোমাকে ভেবে ছেলেবেলার দিন গুলোর কথা স্মরণ করতো। তোমার শুন্যতা সারাক্ষণ অনুভব করতো আমাকে বলতো বাবা, আমার নানুজান, নানাজান, খালাজান তারা সবাই আসে আমার দাদাজান, দাদীজান আসেনা কেন? আমি নীরবেই চোখের জল ঝরাতাম। বলতাম সে কথা তোমার মা”কে জিজ্ঞেস করো। সে অনেক কথা মাগো। আসলে নিয়তির উপরে বুঝি কারো হাত নেই? নয়তো কেন এমন হলো? কেন তোমার মত এমন নিঃস্বার্থ জননীর জীবনে কান্নার ঢল নেমে এলো? কেন আমার মত একজন ডাক্তার সন্তান থেকেও তুমি আজ বৃদ্ধাশ্রমে? এর জন্য আমিই দায়ী মা। আমি অপরাধী ভীষণ অপরাধী আমি অভিশপ্ত আসামী।

মাগো তাইতো আপরাধের প্রায়শ্চিত্ত স্বরুপ গত মাসের বিশ তারিখে রোড এক্সিডেন্টে তোমার একমাত্র নাতি আমার আদরের সন্তান দুনিয়ার মায়া ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে পরপারে। তোমার বউ মা’র অত্যাচারের মাত্রা কিছুটা হলেও তুমি জানো। তার অত্যাচার মাত্রাটা এতোটাই নির্মম হয়ে উঠেছিলো যে আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। তাই তাকে আমি নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করেছি।পুলিশ আমাকে হন্যে হয়ে খোঁজছে মা। জানি এর পরিণতি কতটা ভয়ংকর। তবু সারাটা জীবন সে আমাকে যে নীরব কষ্টটা দিয়েছে তোমাকে বঞ্চিত করে রেখেছে তোমার অধিকার থেকে। তার কিছুটা হলেও বদলা আমি নিতে পেরেছি মা। আমি তাতেই ধন্য। মাগো, তুমি যদি আমায় ক্ষমা না করো আমি যে মরেও শান্তি পাবোনা মা। তিলতিল করে সমস্ত সুখকে জলাঞ্জলি দিয়ে যে তুমি আমাকে মানুষ করতে চেয়েছিলে আর আমি কিনা হয়েছিলাম অমানুষ। একজন মানুষ রুপী শয়তান।

এবারও চিঠিটা পড়া শেষ হলোনা। মা রেবেকার হাত থেকে কখন যে চিঠিটা পড়ে গেছে…চোখের চশমাটাও লোটিয়ে পড়েছে হুইল চেয়ারের নীচে…মাথাটা থুবড়ে পড়েছে দু’হাটুর উপরে। মুখ থেকে ফেনা বের হয়েছিল আন্দাজ করা যায়…তবে নাক দিয়ে যথেষ্ট পরিমান রক্ত ক্ষরণ হয়েছে…চোখ দুটি তার যেন সহস্র স্বপ্ন নিয়ে এখনও ফেল ফেল করে তাঁকিয়ে আছে। এদিকে অনেকক্ষণ বিছানায় রেবেকাকে না পেয়ে শরমিলা ঠাকুর তাকে খোঁজতে বের হয়। বারান্দায় হুইল চেয়ার দেখেই শরমিলা ঠাকুর বুঝতে পারে আর কেউ নয় রেবেকাই হবে।

বুড়ো বয়সী হলে কি হবে। মনতো কখনও কারো বুড়ো হয়না। দুষ্টমির ছলে শরমিলা ঠাকুর পেছন থেকে রেবেকার চেয়ারটাকে একটু জোরে থাক্কা দেয়। বলে, কিগো অভিমান করে কার কথা ভাবছো? অচেতন রেবেকা মুখ থুবড়ে সাথে সাথে পড়ে যায় মেঝেতে শরমিলা ঠাকুর চীৎকার দিয়ে উঠে। তার চীৎকারে মিনিটের মধ্যেই বহু লোক সমবেত হয়। ডাক্তারও আসে। চেকআপ করে। বিস্ময় ভরে তাঁকায় ডাক্তার।মানবিক ডাক্তারের চোখ বেয়ে জল ঝরঝর করে ঝরতে থাকে। ততক্ষণে আর বুঝতে কারও বাকি থাকেনা যে, রেবেকা আর নেই।

- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here