বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
Homeআইন-অপরাধপ্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নাহিদ ইসলাম

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নাহিদ ইসলাম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

মাত্র ২৬ বছর বয়সে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই তরুণ প্রাণ। যার ডাকে লাখো লাখো ছাত্র জনতা গর্জে উঠেছে সংগ্রামে হয়ে উঠেছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষের অন্যতম নেতা।

সর্বস্তরের গণমানুষের অন্যতম এই নেতা শনিবার (১২ই অক্টোবর) রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেওয়া সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করে আরেকটা নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি।

(১২ই অক্টোবর) শনিবার ছিলো রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই শিক্ষককে একই মঞ্চে সম্মাননা দিতে দেখায় তিনি তার সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেন। যা নেট দুনিয়াকে ব্যপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম প্রশংসা ভাসছেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ হাসানের বক্তব্য শেষে এক শিক্ষার্থী হঠাৎ দাঁড়িয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায় ও কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফকে সম্মাননা স্মারক দেওয়ার বিরোধিতা করছি।

এ সময় ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, যারা স্বৈরাচারের সাহায্য করেছে তাদের সম্মাননা স্মারক দেওয়াটা আমরা মানতে পারি না।

যাদের আজ সম্মাননা দেওয়া হলো তাদের একজন আন্দোলনে হামলাকারীদের উসকানিদাতা স্বৈরাচারের দোসর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ রায়। অন্যজন কলা অনুষদের ডিন শফিক আশরাফ আবু সাঈদের মৃত্যুর পর বিতর্কিত কলাম লিখেছিলেন। তাদের সম্মাননা দেওয়া মানে আবু সাঈদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।

পরে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামতাকে দেওয়া সম্মাননা স্মারকটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামো থেকে ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে। আপনারা যে অভিযোগটি তুলেছেন সে বিষয়ে আমি জানতাম না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য যেন আপনাদের অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন। ফ্যাসিবাদ-মুক্ত বেরোবিতে এসে যেদিন আপনাদের দাবি পূর্ণ করতে পারব সেদিন সম্মাননা গ্রহণ করব।

এই ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের প্রশংসা করেন।

সুলতান মাহবুব নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে ধন্যবাদ। এই সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে বলেই ফ্যাসিবাদ খুনি হাসিনাকে দেশ ছাড়া করতে পেরেছে তারা।

মো. অলি উল্লাহ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সুন্দর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ উপদেষ্টা নাহিদকে। আপনাদের হাতেই এই দেশ নিরাপদ। দোয়া করি আপনাদের মাধ্যমেই যেন এই দেশ উন্নতের শিখরে পৌঁছায়।

মাহফুজুল ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এটি সময় উপযোগী সঠিক সিদ্ধান্ত। গণহত্যাকারী স্বৈরাচারের দোসর বাংলাদেশের কোনো জায়গায় স্থান পাবে না, এটাই হোক প্রতিজ্ঞা ইনশাআল্লাহ।

মো. শাহীন নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রিয় ভাই নাহিদ ইসলাম ধন্যবাদ।

- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here