সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে পতিত সরকার, গণমাধ্যম ও বাইরের ব্যক্তিরা জড়িত। এমন দাবি করেছেন মামলার আইনজীবী শিশির মনির। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে বিগত সরকারের অনেক প্রভাবশালী নেতা জড়িত থাকার তথ্য প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদীপক্ষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ দেয়।
তিনি বলেন, হত্যাকারীরা যে শুধু সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরাই ছিলেন তা নয়, সরকারের পাশে থেকে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে।
আপাতত তদন্ত চলা অবস্থায় সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম বলায় আইনগত বাধা আছে, তাই তিনি জানার পরো নাম প্রকাশ করা থেকে বিরত আছেন।
সাগর রুনি দম্পত্তির হত্যাকান্ড প্রায় ১২ বছর পর বর্তমানে টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারকে ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। । বেশ কিছু সেনসেটিভ ব্যক্তির নাম এসেছে। সংবেদনশীল মানুষ এর সঙ্গে জড়িত মর্মে, প্রাথমিক কর্মকাণ্ডে বোঝা যায়।
তদন্ত যে জায়গায় গিয়ে থেমে গিয়েছিল, সেই জায়গায় সরকার এখন আর কোনো বাধা দিচ্ছে না। একটা গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট আছে ডিএনএ রিপোর্ট। এই ডিএনএ সাগর ও রুনির গায়ে দুজন ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করা হয়েছে। এই দুজন ব্যক্তি কারা, তা খোঁজা হচ্ছে। আশা করি, এ দুই ব্যক্তির তথ্য আপনারা স্বল্প সময়ের মধ্যে জানতে পারবেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির তোফায়েল আহমেদ খান, নায়েবে আমির ও সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি শামসুদ্দিন আহমদ, সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুমতাজুল হাসান আবেদ। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি পঙ্কজ কান্তি দে।