বুধবার, জানুয়ারি ৮, ২০২৫
Homeআইন-অপরাধআ.লীগের তৈরি জঞ্জাল উচ্ছেদ করে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই: মির্জা...

আ.লীগের তৈরি জঞ্জাল উচ্ছেদ করে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই: মির্জা ফখরুল

ডেস্ক রিপোর্ট

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তরুণদের উদ্দেশে বলেছেন, তাদের আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ করছেন। মিডিয়ার মধ্যে অনেকেই বলেন, তারা কোনো সাফল্য দেখতে পান না। এই তিন মাস সময়ের মধ্যে এই সরকার অনেক কাজ করেছে। অস্বীকার করার তো উপায় নেই। সংস্কার করার জন্য তারা কমিশন গঠন করেছে, আইন পরিবর্তন করেছে, আইনগুলো নিয়ে কাজ করছে। বেশ কিছু ফ্যাসিবাদের দোসরকে আটক করেছে, বিচারের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ বিষয়গুলো কিছু করছে। সব কিছু তো একসঙ্গে সম্ভব নয়।

শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০২৪’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, তরুণদের বলব, আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এই সরকারে ছাত্ররাও আছে, তরুণরাও আছে। আমি বিশ্বাস করি, তারা নিশ্চয়ই সে জায়গাটাতে পৌঁছাতে পারবেন। একটা কথা আমাদের জরুরিভাবে মনে রাখতে হবে, এবার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে আমরা সেই সুযোগ যাতে কোনোমতেই হাতছাড়া না করি। এবার এ সুযোগ হারিয়ে গেলে আমাদের জাতি হিসেবে অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।

মির্জা ফখরুল প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, আওয়ামী লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করে গেছে, সেগুলো সরিয়ে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যাতে করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা এই যুবক-তরুণদের চাওয়া যে নতুন বাংলাদেশ, সেটা তৈরি করতে পারি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিভিন্ন রকম নেতিবাচক কথাবার্তার কারণে ফ্যাসিবাদ কিন্তু মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু কিছু মিডিয়া সেটাকে প্রোমোট করছে, যেটা কখনোই জনগণের জন্য শুভ বয়ে আনবে না। অনুরোধ করব, যারা এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা দয়া করে এটিকে বন্ধ করেন। একই সঙ্গে তরুণ-যুবকদের প্রতি অনুরোধ করব, আপনারা এত বড় একটা অসাধ্য সাধন করেছেন, এই প্রবণতা যেন বন্ধ হয়, তার জন্য আপনারা কাজ করবেন।

সরকারকে বারবার নির্বাচনের তাগিদ দেওয়ার কারণ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মৌলিকভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সংস্কার কখনোই সফল হতে পারে না। আর জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ সম্ভব একটা নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে। ওটা যদি কার্যকর করা যায়, তাহলে পুরো বিষয়গুলো গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য নিয়ে আসা সম্ভব হয়। সমস্যাটা ওই জায়গায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা না হওয়ার কারণে এখানে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। প্রত্যেকের মধ্যে কেমন যেন একটা স্বৈরতান্ত্রিক চিন্তা-ভাবনা বাসা বেঁধে গেছে।

ন্যাশনাল ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মুনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের জেনায়েদ সাকি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জামিল আহমেদ, জহিরুল আলম, ইয়ুথ ফোরামের মেহেরুন্নেসা হক, সোহান হাফিজ, তানজিনা নওসিন, মনিরুজ্জামান মুনির, মেহেদি হাসান মিঠু, শফিউল কবির, জেরিন আনজুম মৌ, আয়ান আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইয়ুথ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা জিএম রাব্বানী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নিহত হাফেজ মোহাম্মদ ইমরান এবং আহত হাফেজ তোফায়েল আহমেদের পরিবারকে নাজমুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অর্থ সহায়তা এবং যুব সংগঠনগুলোকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

- Advertisement -spot_img
আরও সংবাদ
- Advertisement -spot_img
এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here