কবি হাসান মাহমুদের সংগীত ও সংগঠক জীবনের তিন দশকপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল স্বজন সমাবেশ ও বিশেষ আবৃতি- সংগীত সন্ধ্যা।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) ধানমণ্ডি ক্লাবে দেশের খ্যাতনামা কবি সাহিত্যিক ও সংগঠকগণের উপস্থিতিতে উক্ত আবৃতি-সংগীত অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর হয়ে উঠে।
উক্ত স্বজন সমাবেশ ও বিশেষ আবৃতি- সংগীত সন্ধ্যাটি যাদের পদচারণায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠানটি তাদের মধ্যে ছিলেন, বিশিষ্ট গুণীজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সরিৎ কুমার লালা, বরেণ্য কবি নাসির আহমেদ, কবি বিনয় বর্মন, কথাসাহিত্যিক ও প্রশিকার চেয়ারম্যান রোকেয়া ইসলাম, কবি তাহমিনা কোরাইশী, কথাসাহিত্যিক নূর কামরুন নাহার, কথাসাহিত্যিক শাহানা শিমু, কবি কামরুল হাসান, লেখক মিতালি হোসেন এবং হাসান মাহমুদের চুরাশিয়ান (৮৪) ব্যাচের বন্ধুরা।
গানে গানে মুখরিত ধানমণ্ডি ক্লবার অডিটোরিয়াম। হাসান মাহমুদ একজন বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার কৃতি সন্তান। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানাতে মঞ্চে প্রধান অতিথির আসনে আমন্ত্রণ জানান সাব সেক্টর কমান্ডার সুরিদ কুমার লালা শ্রদ্ধেয়জনকে এবং বরণ করে নেন ফুলের তোরা দিয়ে।
এরপর শুরু হয় গানের অনুষ্ঠান। প্রথমেই বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু করেন গুনী এই শিল্পী হাসান মাহমুদ। এরপর ধারাবাহিক ভাবে অসাধারণ অসাধারণ গান পরিবেশন করে উপস্থিত সকলের মন কেড়ে নেন।
এরপর মঞ্চে উপবিষ্ট হন অতিথি শিল্পী দেবনিষ্ঠা জানা। প্রথমেই তিনি সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তার দেরীতে উপস্থিতির জন্য। এরপর হাসান মাহমুদ এর পরপর দুটি কবিতা পাঠ করে শুনান।
হাসান মাহমুদ গেয়ে শুনান অসাধারণ গান গানের পর অতিথি শিল্পীর অসাধারণ কন্ঠে মুখরিত হয় পুরো অডিটোরিয়াম। একবার হাসান মাহমুদ এর গান এরপর দেবনিষ্ঠা জানা’র কবিতা পাঠ সত্যিকার অর্থে কখন যে সময় পেরিয়ে গিয়েছিল কারও সেদিকটায় খেয়ালই ছিলোনা।
হাসান মাহমুদের অসাধারণ গান গুলোর মধ্যে গান “কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো” “এ আকাশকে স্বাক্ষী রেখে এ বাতাসকে স্বাক্ষী রেখে” “ডেকোনা আমায় তুমি কাছে ডেকোনা” ” আমাকে পোড়াতে যদি এতো লাগে ভালো” মা’গো ভাবছো কেন” উল্লেখযোগ্য।
শিল্পী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক অসংখ্য গুনের অধিকারী হাসান মাহমুদের সন্ধ্যাকালীন আবৃতি ও সংগীতানুষ্ঠান জুড়েই ছিল অসাধারণ সুরের ব্যঞ্জনা যা দর্শক গ্যালারিকে মাতিয়েছিল দীর্ঘ সময়। সেই সাথে অসম্ভব সুন্দর কবিতা আবৃতিও নতুন মাত্রা যুক্ত করেছিল। পরিশেষে হাসান মাহমুদ এর ৮৪ ব্যাচের বন্ধুরা মিলে যুগলকন্ঠে গান গান” “পুরনো সেই দিনের কথা”
এতো আনন্দ আয়োজন সময়ের পথধরে বিনোদনের মাত্রাটা এতই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল যে পুরো রাতটা যদি গানে গানে মুখরিত থাকতো সহসাই কেটে যেতো রাত্রির পদ পরিক্রমা।
পরিশেষে অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে ডিনারের আয়োজন করা হয়। যথেষ্ট সুন্দর পরিবেশে ডিনার শেষে শুরু হয় ফটোসেশান।
এই বিশেষ আবৃতি- সংগীত সন্ধ্যাটি শুরু হয়েছি সন্ধ্যা ৬ ঘটিকা থেকে যখন অনুষ্ঠানটি শেষ হয়েছিল তখন ঘড়ির কাটা ছিল রাত দশটার কোঠায়।