গ্রামাঞ্চলে সন্ধ্যার পর থেকে শীতের আমেজ পুরোদমে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে রাত পেরিয়ে ভোরে দেখা মিলছে কুয়াশায়
ইতিমধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে এসেছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এদিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে আজ শনিবারের মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এতে দেশের উপকূলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন দিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কিছু জেলায় শীতের আমেজ শুরু হলেও ঢাকায় শীতের দেখা মিলতে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গতকাল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমকি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সাধারণত নভেম্বর মাসে শৈত্যপ্রবাহের নজির নেই। তবে এবার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এটা আরেকটু কমতে পারে। কিন্তু এ মাসের বাকি দিনগুলোতে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা নেই বললেই চলে। এবার শীতের তীব্রতা খানিকটা বেশি হতে পারে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তখন তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর যদি তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, তবে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হয় তখনই, যখন তাপমাত্রা থাকে ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে হয় অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, সারা দেশে কমবেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। দেশের বেশিরভাগ এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা বিভাগ ছাড়াও চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় তাপমাত্রা কমেছে। সব বিভাগেই শীতের অনুভূতি আছে। তবে অঞ্চলভেদে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় তা বেশি আছে।
তিনি বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় রাজধানী ঢাকায় শীতের অনুভূতি কম। এখনকার মতো আবহাওয়া আরও বেশকিছু দিন থাকবে। তবে দিন যত যাবে তত তাপমাত্রা কমবে।